নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট; জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় এক দিনে পৃথক দুহ শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
আজ রবিবার (১০ মে ২০২০) পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষকদের আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে। এর আগে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার কাউন্সিল পাড়া ও ফকিরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক আলমগীর হোসেন (২২) কে আটক করেছে পুলিশ।
ধর্ষক আলমগীর হোসেন উপজেলার কাউন্সিল পাড়া এলাকার বাসিন্দা। পেশায় সে বৈদ্যুতিক মিস্ত্রী বলে জানা গেছে। শিশুটি একই এলাকায় তার নানা বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি স্কুলে ৪র্থ শ্রেণীতে লেখাপড়া করে।
ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবারের লোকজন জানায়, ধর্ষক আলমগীর হোসেন শনিবার বিকেল ৫টার দিকে শিশুটিকে ডেকে শাহ গরীবুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভেতরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় সে কান্নাকাটি করলে ধর্ষক তার হাতে ৬০ টাকা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সে বাড়িতে গিয়ে তার নানীকে বিষয়টি খুলে বলে।
শিশুটির নানী বলেন, বিকেল বেলা সে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে আসে। পরে জিজ্ঞাসা করলে সে সব কিছু জানায়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হাতীবান্ধায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার আল মামুন বলেন, শিশুটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছেনা। তবে শিশুটি ও তার অবিভাবকের জবানবন্দি শুনে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আলামত পরীক্ষা করার জন্য শিশুটিকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
এদিকে, একই দিন ওই উপজেলার ফকিরপাড়া এলাকায় এক সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ওই এলাকার প্রতিবেশী লম্পট লোকমান আলী ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে পাশের ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি জানাজানির পর পুলিশ খবর পেয়ে লম্পট লোকমানকে আটক করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদি হয়ে রাতে একটি মামলা দায়ের করে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উমর ফারুক বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে লম্পট আলমগীর ও লোকমানকে আটক করা হয়। রোববার সকালে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আমাদের বাণী ডট/১০ মে ২০২০/পিবিএ