গত কয়েকমাস ধরে তার তাণ্ডবে রীতিমতো তটস্থ ছিল এলাকার স্কুলছাত্রীরা। স্কুল কিংবা টিউশনিতে যাওয়া-আসা করা ছাত্রীরাই ছিল তার টার্গেট।

হেলেমেটে মুখ ঢেকে মোটরসাইকেল চেপে ছাত্রীদের হয়রানি করে আবার দ্রুতবেগে পালিয়ে যেতেন‘হেলমেটধারীসজিব’। পেশায় স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

নড়াইল সদর উপজেলার অনেকে ছাত্রীই সজিবের হেনস্থার শিকার হলেও প্রথমদিকে ভয় এবং লজ্জায় প্রশাসনকে জানায়নি। কিন্তু একসময় ভুক্তভোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে পুলিশের দ্বারস্থ হন অভিভাবকরা।

অবশেষে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শহরের আলাদাতপুর পাসপোর্ট অফিসের গলি থেকে মোটর সাইকেলসহ তাকে আটক করে পুলিশ। সজিবের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির নম্বর- নড়াইল-হ ১১৮০৬৮।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নারী উত্যক্তকারী এসএম মাহমুদ হাসান ওরফে সজিব নড়াইল সদরের বেতেঙ্গা সরকারি প্রাথমিকবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

গত কয়েকমাস ধরে শহরের কয়েকজনছাত্রীওঅভিভাবকের অভিযোগের পর তাকে শনাক্ত করার জন্য সচেষ্ট হয় পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক ছাত্রী বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেছে।

হেনস্থার শিকার ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্কুলকিংবাটিউশনিতেআসাযাওয়ারপথেহেলমেটেমুখঢেকেমোটরসাইকেলে চেপে সজিব তাদের হেনস্থা করত।

নির্জন পথে এই লম্পট পেছন দিক থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাদের শরীরে হাত দিয়ে আবার দ্রুততার সাথে পালিয়ে যেত।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্তত ২৫জনশিক্ষার্থীজানিয়েছে, পেছন থেকে এসে ওড়নায় টান দিয়ে শরীরে হাত দিয়ে চলে যেতোওইবখাটেপ্রথমেলজ্জায়কাউকেজানায়নিতারাওইমোটরসাইকেলের ভয়ে তারা নির্জন রাস্তা দিয়ে চলাচলের সাহস পেতো না।

এ বিষয়ে নড়াইলের পুলিশ সুপার মো. জসিমউদ্দিন বলেন, সব এলাকায় সিসিটিভি না থাকায় এবং হেলমেট পরার কারণে তাকে শনাক্ত করতে সময় লেগেছে পুলিশের।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।