দুটো দাঁত ভেঙে রক্ত ঝরছে। বাম চোয়ালে জখমের চিহিহ্ন ছাড়াও পুরো মুখ ফুলে গেছে। চোখ দিয়ে ঝরছে পানি। রাস্তার পাশে পড়ে ছিলেন সত্তরোর্ধের এই বৃদ্ধা। বুধবার রাতের কোনো এক সময় এই বৃদ্ধাকে রাস্তার পাশে ফেলে চলে গেছে তার সন্তানেরা। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় স্থানীয় লোকজন নারায়ণগঞ্জের বন্দর মদনপুর এলাকায় কেওডালা-অলিপুরা সড়কের পশ্চিম কামরাবো এলাকার ইটভাটার পাশ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বন্দর মদনপুর বারাকা হাসপাতালে ভর্তি এ বৃদ্ধার এখনো কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে ইশারা-ইঙ্গিতে তার প্রতি নির্যাতন করা হয়েছে তা জানাচ্ছেন উপস্থিত লোকজনকে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে বারাকা হাসপাতাল থেকে  জানানো হয়, ওই বৃদ্ধ মহিলার কোনো পরিচয় এখানো পাওয়া যায়নি। কেউ তার খোঁজ নিতে আসেনি।

জানা গেছে, বন্দরে অজ্ঞাত, নাম-পরিচয়বিহীন ও রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকা এক বৃদ্ধ মাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পাশাপাশি তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ মাসুম আহম্মেদ। বৃহস্পতিবার স্থানীয় কেওঢালা টু অলিপুরা সড়কের পশ্চিম কামরাবো এলাকা থেকে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাকে মদনপুর দ্য বারাকাহ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বন্দরের ধামগড় ইউপির ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কামরাবো এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় ‘৭০৭ ইট ভাটার’ পাশের বস্তিসংলগ্ন মুমূর্ষু অবস্থায় এক বৃদ্ধাকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।

তারা জানান, গত বুধবার রাতের যেকোনো একটি সময়ে কে বা কারা এই বৃদ্ধ মহিলাকে ফেলে রেখে চলে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে থানা আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক সোনা মিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ মাসুম আহম্মেদকে অবহিত করেন। চেয়ারম্যান মাসুম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বৃদ্ধ মহিলাকে সেখান থেকে গাড়িতে করে নিয়ে সুচিকিৎসার জন্য মদনপুর দ্য বারাকাহ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পাশাপাশি বৃদ্ধার চিকিৎসা বাবদ সমস্ত খরচ চেয়ারম্যান মাসুম বহন করবেন বলে গণমাধ্যমকে জানান।

বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলামকে জানানো হয়েছে এবং বৃদ্ধার পরিচয় জানতে ও তার পরিবারের কাছে তাকে ফিরিয়ে দিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে বিষয়টিকে ব্যাপকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।