কুষ্টিয়ার খোকসা জানিপুর সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফিস আদায়সহ প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও স্বচ্ছাচারীতার খবরটি ভাইরাল হওয়ার একদিন পর শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

জানা গেছে, প্রথম সাময়ীক পরীক্ষার সুযোগে সদ্য সরকারী হওয়া খোকসা জানিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফিস আদায় শুরু করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।  শনিবার সকালে প্রথম সামীয়কী পরীক্ষা শুরুর আগে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্কুল ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক অবরুদ্ধ করে মানব বন্ধনের সৃষ্টি করে। এ সময় প্রধান শিক্ষকের অনুগত সহকারী শিক্ষকরা মানব বনব বন্ধ করতে শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি প্রর্দশন করে। অবশেষে বাধ্য হয়ে পরীক্ষাথীদের কাছ থেকে ফিস আদায় বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদেও পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগীত করে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা দাবি করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ আলী রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাধ্যতামূলক ক

কোচিং ফিসসহ নানা ধরনের অতিরিক্ত ফিস আদায় করে আসছে। চলতি প্রথম সাময়ীক পরীক্ষায়তেই প্রায় ৬/৭ লাখ টাকা বানিজ্য করেছে।

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উপর শরীরিক নির্যাতন ও অশ্রাব্য ভাষা প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের নামের লিজকৃত জেলা পরিষদের জমিতে প্রায় অর্ধশত ঘরের পজিশন বিক্রির বিস্তর অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মহম্মদ আলীর সাথে কথা বলার হলে তিনি বলে, আমি যা করেছি, রেজুলেশন করেই করেছি। বিদ্যালয়টি সরকারী করণ হলেও কোন নির্দেশনা তিনি পান নি। ফলে আগের নিয়মেই চলছেন।

বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাফ্ফারা তাসনীন সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান শিক্ষক আগের রেজুলেশন অনুযায়ী ফিস আদায় করেছে। তবে তিনি ফিস আদায় বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদেও পরীক্ষা নেওয়া নির্দেশ দিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।