আগামী বছর থেকেই ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ালেখাও অবৈতনিক হচ্ছে। অর্থাৎ প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির মতো ষষ্ঠ শ্রেণিতেও শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফি বা বেতন দিতে হবে না। ষষ্ঠ শ্রেণির প্রতিটি শিক্ষার্থীর টিউশন ফি পরিশোধ করবে সরকার। এই ফি হবে সর্বনিম্ন ৩৫ টাকা। আর সর্বোচ্চ কত টাকা মাসিক টিউশন ফি পরিশোধ করা হবে, তা অংশীজনদের সঙ্গে আরো আলোচনা করে ঠিক করা হবে। গত রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অবৈতনিক শিক্ষা চালুর লক্ষ্যে কর্মপন্থা তৈরির জন্য ওই বৈঠক আয়োজন করা হয়। এতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান এবং শিক্ষক নেতারা অংশ নেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদও এতে অংশ নেন।

বৈঠকে উপস্থিত থাকা একাধিক সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণির প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য ৩৫ টাকা করে টিউশন ফি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরের বছর সপ্তম শ্রেণিতে অবৈতনিক শিক্ষা চালু হবে। এভাবে ২০২২ সালে অষ্টম শ্রেণিতে এবং ২০২৬ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে অবৈতনিক শিক্ষা চালু করার কাজ সম্পন্ন করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক স্তরের মতো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া অবৈতনিক করতে চান। শিক্ষায় টেকসই উন্নয়ন, ভিশন-২০৩০ এবং ২০৪১ অর্জনের লক্ষ্যে ঝরে পড়া রোধ এবং মান অর্জনই অবৈতনিক শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য। এ জন্যই পর্যায়ক্রমে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক করতে চান প্রধানমন্ত্রী। এ লক্ষ্যেই প্রথম ধাপ হিসেবে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই ষষ্ঠ শ্রেণির লেখাপড়া অবৈতনিক করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

একই সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষায় উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।