২০ বছর বয়সী সেই শিশু চম্পা খাতুন পেলেন প্রতিবন্ধি ভাতা। শুক্রবার বিকালে স্বনামধন্য সাধুহাটী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন চম্পার হাতে ভাতার বইটি তুলে দেন। কথা বলতে না পারা “শিশু” চেয়ারম্যানের হাত থেকে বেশ হাসিখুশি ভাবেই চম্পা বইটি গ্রহন করে ছবির জন্য পোজ দেন।

সদরের বংকিরা গ্রামের হাসেম মোল্লার মেয়ে চম্পাকে নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সংবাদ প্রকাশিত হলে চিকিতৎসার দায়িত্ব নেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ অলোক কুমার সাহা। ফ্রি রক্ত পরীক্ষা করে দিতেন প্যাথলজিষ্ট সাকি। পত্রিকায় খবর পড়ে চম্পার প্রতিবন্ধি ভাতার বই করে দেওয়ার উদ্যোগ নেন সাধুহাটী ইউনিয়নের স্বনামধন্য চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন।

শুক্রবার ভাতার বই প্রদানের পাশাপাশি ঈদে নতুন জামা কাপড় কেনার টাকা দেন চম্পার হাতে। চম্পা খাতুনের মা মিনুয়ারা বেগম জানান, ১৯৯৯ সালের ২৮ এপ্রিল চম্পা খাতুনের জন্ম। জন্মের পর থেকে সে বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধি। আচরণ করে শিশুর মতো। কোন কথা বলতে পারে না। কেবল হাসতে আর কাঁদতে পারে। সারাক্ষন মানুষের কোলে কোলেই তার দিন কাটে। বড় বোন ময়না খাতুন জানান, ২০ বছর বয়স হলেও চম্পা এখনো শিশুর মতোই রয়ে গেছে। চিকিৎসার পর চম্পা এখন হাটতে পারে। তার মধ্যে কিছুটা অনুভূতি ফিরেছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।