৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ | ২য় সপ্তাহ

আজকে আমাদের এখানে ৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর প্রকাশ করা হয়েছে। সুতরাং আপনি আমাদের এখান থেকে খুব সহজেই বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর ছবি এবং পিডিএফ ফরমেট আকারে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

আপনাদের এই অ্যাসাইনমেন্ট প্রক্রিয়াটি ২০২১ সাল থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে। আপনি যদি ৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য জানতে চান, তবে আমাদের পোষ্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

কারণ আমাদের এখানে ৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য উদাহরণ সহকারে, ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং আমাদের পোস্টটি পড়লে আপনি অ্যাসাইনমেন্ট সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।

সুতরাং কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই এই বছর বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তাই শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে নির্দেশ দিয়েছে যে,

প্রত্যেক শিক্ষার্থী নির্ধারিত এসাইনমেন্ট তৈরি করে তাদের বিদ্যালয় জমা দেয়। এই এসাইনমেন্ট এর উপর ভিত্তি করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হবে।

 

শ্রেণি: ৭ম

বিষয়: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

এ্যাসাইনমেন্ট নং-০১

 

৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২য় সপ্তাহ

অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরোনাম: প্রথম: বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ

পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত পাঠ নম্বর ও বিষয়বস্তু:

  • পাঠ-১: রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন;
  • পাঠ-২: যুক্তফ্রন্ট;
  • পাঠ-৩: ছয় দফা আন্দোলন;
  • পাঠ-৪: ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা (রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য);
  • পাঠ-৫: ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান;
  • পাঠ-৬: ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন;
  • পাঠ-৭ ও ৮: পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বৈষম্য;

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ:

১. ভাষা আন্দোলনের ঘটনাবলি ধারাবাহিকভাবে লেখ। তোমাদের বিদ্যালয়ে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কীভাবে পালন করা হয়েছিল তার একটি পর্যায়ক্রমিক বর্ণনা দাও।

এই নির্ধারিত কাজটি করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবে-

  • ১. ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত ভাষা আন্দোলন সংগঠনের সঠিক ঘটনাবলি তুলে ধরবে।
  • ২. স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান পালনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবে।

 

মুল্যায়ন রুবিক্স:

ক. অতি উত্তমঃ

  • ১. শিক্ষার্থী ভাষা আন্দোলন সংগঠনের নির্ভুল ধারাবাহিক তথ্য প্রদান করবে
  • ২. বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার ইতিহাস নির্ভুলভাবে প্রদান করবে
  • ৩. নির্ধারিত কাজটি সুগঠিত, নির্ভুল বানান ও বাক্যে লেখা হবে

খ. উত্তমঃ

  • ১. শিক্ষার্থী ভাষা আন্দোলন সংগঠনের আংশিক নির্ভুল ধারাবাহিক তথ্য প্রদান করবে
  • ২. বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার ইতিহাস আংশিক নির্ভুলভাবে প্রদান করবে
  • ৩. নির্ধারিত কাজটি সুগঠিত, নির্ভুল বানান ও বাক্যে লেখা হবে

গ. ভালোঃ

  • ১. শিক্ষার্থী ভাষা আন্দোলন সংগঠনের কিছু ভুল তথ্য প্রদান করবে
  • ২. বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার ইতিহাস আংশিক ভুল তথ্যে প্রদান করবে
  • ৩. নির্ধারিত কাজটি আংশিক সুগঠিত, কিছু বানান ও বাক্যে ভুল লেখা হলে

ঘ. অগ্রগতি প্রয়োজনঃ  

  • ১. শিক্ষার্থী ভাষা আন্দোলন সংগঠনের সঠিক তথ্য অনুপস্থিত;
  • ২. বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার ইতিহাস আংশিক ভুল তথ্যে প্রদান;
  • ৩. নির্ধারিত কাজটি কিছু বানান ও বাক্যে ভুল লেখা থাকলে;

 

৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তরঃ-

***ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিক ঘটনাবলি***

১৯৪৭ সালে উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটে এবং ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। স্বাধীনতার পরপরই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কি হবে এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। ভাষা ও ধর্ম নিয়ে তৈরি হয় দ্বি-জাতি তত্ব। আর এই দ্বি-জাতি তত্তের প্রবক্তা ছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ | তিনি স্বাধীনতার কয়েকদিন পরে গণপরিষদে বললেন, ” মুসলিম, হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান কিংবা পান্জাবি-বাঙালি-সিন্ধি-পাখতুন পরিচয় ভুলে সবাইকে এখন এক পাকিস্তানি হতে হবে।” উর্দুর উপর জোর এবং অন্যান্য ধর্ম, ভাষা-সংস্কৃতি: বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। কিন্তু তৎকালীন বাঙালিরা তা মেনে নেন নি। ভাষাবিদ ড. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ এবং অন্যান্য ভাষাবিদ ও সাহিত্যিকরা এর প্রতিবাদে এগিয়ে আসেন | এক ভাষণে শহিদুল্লাহ বলেন “আমরা হিন্দু মুসলিম যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি ” তাই বাঙালি সমাজ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি করে। কিন্তু পাকিস্তান সরকার উর্দুকে রার্ষ্ট্রভাষা করার ষড়যন্ত্র করে।

১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে ছাত্র শিক্ষক সমাবেশে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেন ” পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু”  এ কথা শোনার সাথে উপস্থিত ছাত্ররা ” না না না ” ধ্বনিতে প্রতিবাদ জানায় সাথে শিক্ষকরাও এর প্রতিবাদ জানায় । কারণ পাকিস্তানের তৎকালীন জনসংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৯০ লক্ষ যার মধ্যে বাঙালি ৪ কোটি ৪০ লক্ষ | তাই বাঙালিরা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার বিষয়ে অনড় থাকে। তাই ছাত্রদের নিয়ে গড়ে উঠে সর্বদলীয় সাংগ্রাম পরিষদ। সংগঠনটির নেতৃতে হলেন কাজী গোলাম মাহবৃব গাজিউল হক, আবদুল মতিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

আবদুল মতিন ও গাজীউল হকের নেতৃত্বে ছাত্র-ছাত্রীরা ঢাকা বিশ্ববিদালিয়ের মেডিকেলের সামনে তাদের আন্দোলন শুরু করে । আন্দোলন একটু সামনে এগুতেই পাকিস্তান বাহিনী আক্রমণ করে নিহত হয় সালাম, রফিক , বরকতসহ অনেকে । কিন্তু এ বর্বরতার পরেও ছাত্র সমাজ চুপ করে বসে থাকে নি। পরের দিন আবার শুরু করে আন্দোলন: মারা যায় ভাষা সৈনিক শফিউর রহমান এবং ৯ বছরের কিশোর অলিউল্লাহ্‌। এভাবেই হার না মেনে জয়ের আশায় ভাষার জন্য আন্দোলন চলতেই থাকে। কারণ তারা জানত বাঙালি জাতি কখনো হারতে জানে না। বিজয় একদিন আসবেই। অবশেষে সেই সময় আসলো। পাকিস্তান সরকার ১৯৫৬ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিল।  আর এভাবে এত বছরের সংগ্রামের ফল পাওয়া গেল।

 

***আমাদের বিদ্যালয়ে মাতৃভাষা দিবস পালন***

২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে আমাদের দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো জাতিয় দিবস আগের মত জাক জমক ভাবে পালন করার কোনো নির্দেশনা ছিলোনা। তাই করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের বিদ্যালয়ে এ বছর মাতৃভাষা দিবস সেইভাবে পালন করা সম্ভব হয় নি। তবে কিছু কার্যক্রম সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে পালন করা হয়েছে। আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও  সহকারী শিক্ষকরা শহীদ মিনারে গিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সকলে। তারপর শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে ফিরে আসে। সকাল ১০:০০ ঘটিকায় একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে। সেখানে সকলে মুখে মাস্ক ব্যবহার করে। এবংস্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। বিদ্যাললে হাত ধোয়ার পর্যাপ্ত পানি রাখা হয়। উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে সকল শিক্ষার্থী উপস্থিত হতে দেওয়া হয়নি কিছু সংখ্যাক শিক্ষার্থী নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান করা হয়। সেখানে আমরা সপ্তম শ্রেনির কয়েকজন উপস্থিত ছিলাম। উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে শিক্ষকরা ভাষা আন্দোলনের পটভূমি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদর মধ্যে সীমিত পরিসরে চিত্রাঙ্কন, ও রচনা প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগীতা শেষে ভাষা শহীদদের মাগফেতার কামনা করে একটি দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে আমাদের বিদ্যালয়ের ধর্মিয় শিক্ষক দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। এবং দোয়া অনুষ্ঠানের সমাপ্তির মধ্য দিয়ে আমাদের সর্বশেষ মাতৃভাষা দিবস পালন শেষ হয়।

 

উপরে আপনারা দেখতে পেলেন ৭ম শ্রেণির ২য় সপ্তাহের ইংরেজি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সমাধান । আসা করি বুঝতে কোন সমস্যা হয় নি ৭ম শ্রেণির  বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্টর উত্তর বুঝতে যদি কোন প্রকার সমস্যা হয় তবে আমাদের কমেন্টবক্স আপনার কমেন্ট লিখেতে ভুলবেন না । তো আজকে ৭ম শ্রেণির ২য় সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর এই পর্যান্ত । দেখা হবে পরবর্তী কোন অ্যাসাইনমেন্টের  সমাধান নিয়ে । আছাড়ও আরো   অন্য সকম অ্যাসাইনমেন্টের  উত্তর পেতে আমাদের সাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন ।

ধন্যবাদ

আমাদের সাথে ফেসবুকে জয়েন হতে পারেন । 

 

৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২য় সপ্তাহ.

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।