পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১০ মার্চ রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে । নির্বাচন উপলক্ষে শেষ মুহুর্তে চলছে  নির্বাচনী প্রচার  প্রচারনা। পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যন পদে লড়ছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক তুখোড় ছাত্রনেতা, ক্রিড়া সংগঠক, বর্তমানে রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য জিএম হীরা বাচ্চু । তার প্রতিপক্ষ প্রার্থী জাতীয় পার্টির মনোনীত আনসার আলী । বিএনপি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহন না করায়  নির্বাচনের মাঠ একচেটিয়াভাবে জিএম হিরা বাচ্চুর দখলে।

অন্যদিকে নির্বাচনের মাঠে গনসংযোগে নেই জিএম হিরা বাচ্চুর প্রতিপক্ষ প্রার্থী আনসার আলী। কারও কাছে ভোট চাইতেও দেখা যাচ্ছেনা আনসার আলীকে । এমনকি ফোনেও তার সাথে যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছেনা।

 

অত্র উপজেলার ভোটারদের কথা হচ্ছে জনবিচ্ছিন্ন আনাসার  পরাজয় নিশ্চিত জেনে লোকলজ্জার ভয়ে  নির্বাচনের গনসংযোগে মাঠে নামছেননা।

সাধারন জনতার একটাই কথা আমরা এবার আর ভুল করবনা। আমাদের এলাকার কৃতি সন্তান, সুখ দু:খের সাথী, সদা বিনয়ী প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন জিএম হিরা বাচ্চুকে উন্নয়নের প্রতীক নৌকা মাকার্য় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে পুঠিয়া উপজেলাকে উন্নয়নের রোল মডেল উপজেলা গড়ার সুযোগ করে দেব। আমরা প্রধানমন্ত্রীর  আস্থার প্রতিদান দিতে প্রস্তুত রয়েছি।

 

উল্লেখ্য”  জি এম হিরা বাচ্চু ২০০৩ সালে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ভোটে বিপুল ব্যবধানে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন  এবং ২০১০ সাল পর্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জেলার সদস্য এবং পুঠিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনীতি করতে গিয়ে ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের হাতে গ্রেফতার নির্যাতিত হন। ১৯৯২ সালে বিএনপি সরকারের আমলে তাকে মিথ্যা মামলায় ফের গ্রেফতার করা হয়। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সরকার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে অসংখ্য মিথ্যা রাজনৈতিক মামলার আসামী হন।

পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন বিরোধী আন্দোলনে তাকে আবারো গ্রেফতার করে কারাবন্দি করা হয়। ২০০১ সালে আবারও বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসলে আবারও অসংখ্য মিথ্যা রাজনৈতিক মামলার আসামী করা হয়। সেসময় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ‘ক্লীনহার্ট অপারেশনের’ সময় পুলিশ গ্রেফতার করে ৬ মাসের ডিটেনশনও (কারাবন্দি) দেয়া হয়।
আমাদের বাণী-আ-আ-মা

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।