পৃথিবীর দীর্ঘতম ইতিহাসে বিভিন্ন যুগের কথা উল্লেখ রয়েছে। ব্রিটেনে এখনো প্রাচীন বিশ্ববিদ্যায় যা পাথরের তৈরি, তাদের বলা হয় Stone Versity। অন্য দিকে, আধুনিকার ছাপ লাগিয়ে কাচ দিয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মিত সেগুলোকে বলা হয় Glass Versity। যুগ সব সময়ে সবার এক যায় না। প্রকৃতির এ অনুশাসন কোথাও ব্যবহৃত হয়েছে জনগণের কল্যাণে, আবার কোথায় ব্যবহৃত হয়েছে বা হচ্ছে অপশাসনের স্বর্গরাজ্য হিসেবে। তাম্র যুগ, হরোপ্পা মহেনজোদারো যুগ, বর্বরতার যুগ সব পেরিয়ে মানুষ এখন সভ্যতার যুগে প্রবেশ করেছে বলে দাবি করছে এবং এ দাবিটি জোর গলায়ই করে থাকে। তা ছাড়া জনগণকে ধোঁকা দেয়ার জন্য যেটুকু গলাবাজি করার দরকার, পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রের চেয়ে আমরা অবশ্যই তা থেকে পিছিয়ে নেই।

১৯৪৭-এর স্বাধীনতা যখন আমাদের আশা আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি, তখনই আরেকটি স্বাধীনতার প্রয়োজন হলো যার বীজ মানুষের চিন্তাচেতনায় ১৯০৫ সালের বঙ্গভবনের সময় রোপিত হলেও পূর্ণাঙ্গভাবে পরিস্ফুটিত হয়েছে ১৯৭১ সালে। ব্রিটিশদের শাসন শোষণের প্রতিরোধে সৃষ্টি হলো পাকিস্তান, পাকিস্তানের শোষণ বঞ্চনাকে রোধ করতে প্রয়োজন হলো বাংলাদেশ সৃষ্টির এবং সৃষ্টির পরই জনগণের অধিকার রক্ষায় স্বাধীন রাষ্ট্রে রচিত হয়েছিল একটি রক্ষাকবজ, যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান নামে পরিচিত।

জনগণের সে রক্ষাকবজ রচিত হয়েছিল ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকার’। আরো বলা হলো যে, ‘কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ ভেদে বা জন্মস্থানের কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবে না’ অথচ সব অধিকার ভোগ করছে এখন আমলারা। সরকার নিজেও আমলাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। দৃশ্যত আমলাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা সরকার নিতে পারছে না এ কারণে যে, সরকার জানে যে, বাংলাদেশে জনগণের নির্বাচন হয়নি, যা হচ্ছে তা হলো আমলাদের কারসাজি। আস্থাভাজন আমলাদের তো সোনায় সোহাগা। উচ্চপদস্থ ষোলোকলায় পূর্ণ তাদের জীবন।

সাংবিধানিক পদ হলে তো কথাই নেই, কারণ তাদের জন্য এদেশ যেন একটি স্বর্গরাজ্য চাকরিতে থাকাবস্থায় তো লোভনীয় পোস্টিং এবং প্রমোশনের পর প্রমোশন নেয়ার জন্য আমলারা সব বিবেক বিকিয়ে দিয়ে সরকারের কাছে এমনভাবে দ্বারস্থ হয় যা Your obedient Servant এর চেয়ে অনেক গুণ বেশি। কিন্তু নিষ্পেষিত হচ্ছে রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। ৩০ জুলাই ২০১৯ জাতীয় দৈনিকে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়, যা পর্যালোচনা করলেই বোঝা যায় যে, দেশটি স্বাধীন হয়ে ছিল শুধুমাত্র সরকারি দল ও আমলাদের জন্য। ক্ষমতা ও দাপটের প্রশ্নে তারা একপক্ষ আরেকপক্ষের সম্পূরক, বাকি সব মনে হয় যেন ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা। পাঠকদের সুবিধার্থে সংবাদটি এ আর্টিকেলে উল্লেখ করা হলো, যা নি¤œরূপ :

‘নড়াইলের কালিয়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র তিতাস ঘোষ বৃহস্পতিবার সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলে তাকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় রওনা দেন স্বজনরা। সেদিন রাত ৮টায় অ্যাম্বুলেন্সটি যখন মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী ১ নম্বর ফেরিঘাটে পৌঁছে, তখন ‘কুমিল্লা’ নামে একটি ফেরি ওই ঘাটেই ছিল। কিন্তু সরকারের এটুআই প্রকল্পে দায়িত্বরত যুগ্ম সচিব আবদুস সবুর মণ্ডলের গাড়ি যাবে এই নির্দেশনা থাকায় ফেরি ছাড়তে দেরি করে ঘাট কর্তৃপক্ষ। তিতাসের স্বজনরা বারবার বিআইডব্লিউটিএ’র লোকজন এবং উপস্থিত পুলিশের হাতে-পায়ে ধরে ফেরি ছাড়ার অনুরোধ করলেও কাজ হয়নি।

এমনকি সরকারি জরুরি সেবার ফোন নম্বর ৯৯৯-এ কল করা হলেও ফেরি ছাড়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত তিন ঘণ্টা পর রাত ১১টার দিকে যুগ্ম সচিবের গাড়ি ঘাটে পৌঁছলে ফেরি ছাড়া হয়। কিন্তু মাঝনদীতে অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যায় ১১ বছর বয়সী তিতাস। তিতাসের মামা বিজয় বলেন, ‘আমার বোন ফেরির লোকদের পায়ে ধরে মাটিতে পড়ে কেঁদেছেন। তবু ওরা ফেরি ছাড়েনি। উল্টো বলেছে, ফেরি ছাড়লে নাকি তাদের চাকরি থাকবে না। তারা বলেছে, ভিআইপি আসবে। আর আমাদের রোগী যে মরে যাচ্ছে, সেদিকে তাদের কোনো নজরই ছিল না।’ ঘাটের ব্যবস্থাপক মো: সালাম হোসেন মিয়া বলেন, ‘ডিসি স্যার আমাকে জানান, ভিআইপি যাবেন। ফেরি যেন আগে না ছেড়ে যায়। তবে আমি তখন ঘাটে ছিলাম না। আমাদের স্টাফকে বলে দিই, ভিআইপি আসার কথা।’

আমলাদের বিরুদ্ধে সরকারের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়ার কথা শোনা যায় না, শুধু একটি ইনকোয়ারি কমিটি হতে পারে, যাতে ভুক্তভোগী জনগণের কোনো প্রতিনিধি থাকে না। ইনকোয়ারি কমিটি গঠিত হয় আমলাদের মধ্যে থেকেই। ফলে ‘যে লাউ সে কদুই’ থেকে যায়। তবে জনগণকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য ‘ইনকোয়ারি’ নামক একটি ভোঁতা অস্ত্র সরকারের হাতে একটি উৎকৃষ্ট বাহন বা গাধার নাকে মুলা ঝুলানোর মতো। ট্রাফিক আইনে যানবাহন চলাচলে অ্যাম্বুলেন্সের যেখানে অগ্রাধিকার রয়েছে সেখানে যুগ্ম সচিব মর্যাদার একজন কর্মচারীর জন্য সরকারি ফেরি ৩ ঘণ্টা বন্ধ রেখে বিনা চিকিৎসায় একজন শিশুর মৃত্যু ঘটাবে তা রাষ্ট্র কিভাবে সহ্য করে নিচ্ছে? অন্য দিকে, আমলাদের এ স্বেচ্ছাচারিতা তো নতুন কিছু নয়, বরং প্রতিদিনের ঘটনা, যার কারণে হাইকোর্ট বলতে বাধ্য হয়েছিলেন যে, ‘কোনো কোনো ওসি, ডিসি নিজেদের জমিদার বলে মনে করে।’

দুদক কর্মকর্তাদের হাম্বরা ভাব ও কথাবার্তা যেন মাটিতে পা পড়ে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অহরহ কথা বলে নিজেরাই কতটুকু দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে বিগত কয়েক দিনের মিডিয়া লক্ষ করলেই বোঝা যায়। সম্প্রতি এক দুদক কর্মকর্তার (দুই সন্তান আমেরিকায় বিদ্যা অর্জনের জন্য বসবাস করে, যদিও আমেরিকায় পড়াশোনার খরচ জোগানোর কোনো উৎস্য প্রকাশিত হয়নি) স্ত্রী প্রিয়া সাহা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম শক্তিধর ব্যক্তি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে যে জবানবন্দী দিয়েছেন, জাতীয় পত্রিকায় ২০ জুলাই ২০১৯ সংবাদ আকারে যেভাবে ছাপা হয়েছে তা নি¤œরূপ।

সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের শিকার বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সাথে হোয়াইট হাউজে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্দেশে এক নারী বললেন, ‘স্যার, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি’। মিসেস সাহা পরিচয়ের ওই নারীর অভিযোগ, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে ও দেশে থাকতে পারছে না। নিজেকে বাংলাদেশী পরিচয় দিয়ে ওই নারী অভিযোগ করেন, তার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, জমি ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে তিনি আইনি সুরক্ষা পাননি।

পরে ২২ জুলাই ২০১৯ প্রিয়া সাহার একটি কথোপকথন বহুলপ্রচারিত জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয় যা নি¤œরূপ।

আপনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছে এই কথাগুলো কেন বলেছেন, যেটা নিয়ে আপনি শোরগোল করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘আসলে এই কথাগুলো আমি কেন বলি, প্রথমে তো এই কথাগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালে যখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্বাচন-উত্তর চরম নির্যাতন চলছিল ৯৪ দিন ধরে, তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আজকের প্রধানমন্ত্রী, তখন বিরোধীদলীয় নেত্রী, তিনি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার জন্য সারা পৃথিবীতে ঘুরেছেন।

সমস্ত জায়গায় বক্তব্য দিয়েছেন। তার কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে, তার অনুসরণে আমি বলেছি এবং যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে কোনো জায়গায় বলা যায়। এটা আমি তার কাছে শিখেছি। প্রিয়া সাহা বলেন, ‘২০০১ সালে তখনকার যে সাম্প্রদায়িক সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর চরম নির্যাতন চালিয়েছিল এবং আওয়ামী লীগের ওপর, তার বিরুদ্ধে বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারা পৃথিবীতে কিভাবে সংগ্রাম করেছেন। সেটা আপনারা সবাই অবগত আছেন। আসলে বিষয়গুলো আপনারা নিজেরাও জানেন। বাংলাদেশের যে পরিসংখ্যান বই রয়েছে, ২০০১ সালের পরিসংখ্যান বইয়ের যে ধর্মীয় সংখ্যালঘুর চ্যাপ্টার রয়েছে, সেখানে এ বিষয়গুলো লেখা রয়েছে।’

দুদক কর্মকর্তার স্ত্রী প্রিয়া সাহার বক্তব্য প্রকাশ হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়ার বিষয়ে সরকারের যে লম্ফঝম্প শোনা যাচ্ছিল, কিন্তু কোন অজানা কারণে সরকার চুপসে গেল তা বোঝা গেল না। ওই নারী হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের একজন নেত্রী এবং নেত্রীর পদ পদবি থাকাবস্থায়ই তিনি ট্রাম্পের কাছে হিন্দুদের নিরাপত্তার প্রশ্নে বাংলাদেশে কথিত রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছেন এবং কোন তথ্যের ভিত্তিতে এ ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাও তার কথোপকথনে প্রকাশ পেয়েছে। তার যুক্তি খণ্ডানো আমার লেখার উদ্দেশ্য নয়, বরং বলতে চাই যে, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ও মাহমুদুর রহমানদের বক্তব্যের কারণে জেলায় জেলায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হলো, কিন্তু প্রিয়া সাহার বিষয়টি ভেস্তে যাচ্ছে কোন কারণে? এর পেছনে সরকারের অন্য কোনো প্রীতি কি কাজ করছে?

বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র এবং বিষয়টি পরীক্ষিত। এ দেশের ৯২ শতাংশ জনগণ মুসলমান। ‘ইসলাম’ নিজেই একটি অসাম্প্রদায়িক ধর্ম। অথচ মুসলমানদের বাদ দিয়ে অন্য তিনটি ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে সংগঠন করে হিন্দুদের নিরাপত্তার উদ্বেগ প্রকাশ কি সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করে না? নাকি এখনো আমলাদের প্রভাবে সরকার প্রভাবান্বিত?

দুর্নীতির দায়ে দুদক গ্রেফতার করে, আদালত সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠান। আধুনিকতার কারণে কারাগারকে বলা হয় সংশোধনাগার। প্রতিটি কারাগারেই ফটকে লেখা থাকে, ‘দেখাব আলোর পথ, রাখিব নিরাপদ’ এবং যারা কারাবাসী হয়েছে তারাই জানে যে, কারাগারে থাকতে কি পরিমাণ ‘তেল মরিচ’ লাগে। কারা কর্তৃপক্ষই যেন কারাগারের রাজা। সেখানে অন্য কোনো আইন চলে না। এতেই সরকার খুশি। কারণ, সরকারপন্থীদের তো আর কারাগারে থাকতে হয় না। প্রতিটি কারাগারে একই অবস্থা।

এ নিয়ে প্রায়ই পত্রপত্রিকায় কারাগারের দুর্নীতিবিষয়ক সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে এবং দু’একটি যে ইনকোয়ারি কমিটি সরকার গঠন করেছে, তা আর আলোর মুখ দেখেনি। তবে সিলেটের ডিআইজি (প্রিজন) পার্থ সাহার বাসা থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারের পর জনগণ আঁচ করতে পারল যে, কারা কর্মকর্তাদের আয় উপার্জন কত হতে পারে? অন্য দিকে, ক্যাশ লেনদেনে দুদকের রেইট কম ওঠে না। ডিআইজি মিজানের ৪০ লাখ টাকা ঘুষ আদান প্রদানের মাধ্যমেই জানা গেল যে, ঘুষের রেইট কত টাকা পর্যন্ত দুদক সৎ থাকে?

ইয়াবা ব্যবসাসংক্রান্ত মামলায় ওসি কামরুলের নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেয়ায় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম তদন্ত কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য আদালতে তলব করেছেন। এর আগেও ওসি কামরুলকে মামলায় কেন সম্পৃক্ত করা হয়নি মর্মে প্রকাশ্যে আদালতে অসন্তোষ প্রকাশ করার পরও শুধুমাত্র ওসি হওয়ার কারণে তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমলাদের কাছে সরকার জিম্মি হয়ে পড়েছে। কারণ সরকার ও আমলা উভয়েই মনে করে যে, আমলাদের অনৈতিকতার বদৌলতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিহীন একটি ‘জাতীয় নির্বাচন’ নামক সাজানো নাটকের মাধ্যমে সরকার এখন ক্ষমতায়। ফলে আমলারাই সরকারের ধারক ও বাহক। আমলারাই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘ভিআইপি’ পদটি অধিগ্রহণ করেছে। যার ফলে জনগণের কষ্টার্জিত এ স্বাধীনতার ‘লাভের গুড় এখন পিঁপড়ায় খায়’।

লেখক : কলামিস্ট ও আইনজীবী (অ্যাপিলেট ডিভিশন)
E-mail: [email protected]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।