মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দু’টি উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। কয়েকদিন পরেই আসছে ঈদুল আযহা। এই ঈদ আনন্দের বার্তা নিয়ে এলেও আমেজ নেই এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের মাঝে। পরিবারের সদস্যদের ঈদ উৎসবে বাড়তি চাহিদা পূরণ করতে ব্যয়ের বাজেটের সঙ্গে যখন আয়ের হিসেব মেলে না তখনই হতাশায় পড়ে যান পরিবারের পরিচালকেরা। এভাবেই কাটে বেসরকারি শিক্ষকদের প্রতি বছরের ঈদ।

বাংলাদেশের প্রতিটি পেশায় উৎসব ভাতা প্রদান করা হয় মূল স্কেলের সমান হারে। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ঈদ বোনাসের প্রচলন শুরু হয়েছে ২৫ শতাংশ দিয়ে। বর্তমান সরকারের টানা তৃতীয় বারের ক্ষমতায় এখন পর্যন্ত সেই ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতার কোনো পরিবর্তন হয়নি। যার ফলে উৎসবের দিনগুলোতে পরিবারের সদস্যদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয় বেসরকারি শিক্ষকরা। ঈদ আনন্দের বার্তা নিয়ে এলেও হতাশা বিরাজ করছে তাদের পরিবারে।

দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে টানা তৃতীয় বারের মত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পেছনে বেসরকারি শিক্ষক সমাজের সমর্থন অন্যতম ভুমিকা পালন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, ক্রীড়া, পরিবেশ, কৃষি, খাদ্য, টেলিযোগাযোগ, সংস্কৃতি, সামাজিক নিরাপত্তা, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ দেশের অবকাঠামোর ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও কিন্তু ভাগ্য উন্নয়ন হয়নি বেসরকারি শিক্ষকদের।

অভাব অনটনের মাঝে যখন পরিবারে সুখের দেখা মেলে না তখন মানসিক চাপ নিয়ে কীভাবে শিক্ষার্থীদের ভালো পাঠদান করবে।

সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষকরা একই যোগ্যতা ও পাঠ্যক্রমে পাঠদান করান, তারপরেও বেতন ভাতার ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। এমন বৈষম্য রেখে উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব নয়।

অবহেলিত বেসরকারি শিক্ষক সমাজ দীর্ঘদিন ধরে দাবি আদায়ের লক্ষ্যি আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূর করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে বেসরকারি শিক্ষক সমাজ।

লেখক: শিক্ষক

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।