বিনোদন ডেস্ক, ঢাকা; 
ওরে নীল দরিয়া
আমায় দেরে দে ছাড়িয়া।
বন্দী হইয়া মনোয়া পাখি, হায়রে
কান্দে রইয়া রইয়া।
কাছের মানুষ দুরে থুইয়া,
মরি আমি ধড়-ফড়াইয়া, রে।
”ওরে নীল দরিয়া” গানটি এখনও মানুষের হৃদয়ে বাজে। গানের কথা ও সুরে যেন মানুষ তাঁর দুঃখ ভুলে যায়, শান্তি পায় একাকীত্ব লাঘভ হয়।
  • “ওরে নীল দরিয়া আমায় দে রে দে ছাড়িয়া” বাংলা ভাষায় রচিত একটি চলচ্চিত্র সংগীত। এই সঙ্গীত বা গানটি ১৯৭৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী চলচ্চিত্র সারেং বৌ ছায়াছবির জনপ্রিয় গান। কালজয়ী এই গানের গীতিকার ছিলেন মুকুল চৌধুরী। আলম খানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনায় এই গানে কন্ঠ দেন প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী আব্দুল জব্বার।
চলচ্চিত্রে সারেং বউয়ের স্বামী বাড়ি ফিরে আসছেন-এমন একটি স্বপ্নে এই গানের ব্যবহার করা হয়েছে। ফারুক এই গানের দৃশ্যায়নে ঠোঁট মিলান, যিনি এই ছবিতে সারেং-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ছায়াছবির পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন এই গানের প্রথম অন্তরা রেলগাড়িতে, দ্বিতীয় অন্তরা সাম্পানে এবং সবশেষে মেঠোপথে চিত্রায়ন করেন।
  • জনপ্রিয় “ওরে নীল দরিয়া আমায় দে রে দে ছাড়িয়া” বাংলা গানটির নতুন করে সুর করেছেন সনামধন্য সুরকার নাজমুল আবেদিন। নতুন রুপে গানটি গেয়েছেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী নাজমুল আবেদিন আবির। আর জনপ্রিয় এই গানটির ভিডিও  আয়োজনে ছিলেন সময়ের ব্যস্ততম চলচিত্র পরিচালক খিজির হায়াত খান। 
সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশিত হয়। গানটিতে সঙ্গীত শিল্পী আবিরের কন্ঠে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। মানুষের হৃদয়ে স্থান পাওয়া গানটি যেন আবার নতুন রুপে রুপ ফিরে পেয়েছে।
গানটি শুনতে এই লিংকে ক্লিক করুণ; “ওরে নীল দরিয়া আমায় দে রে দে ছাড়িয়া”
  • “ওরে নীল দরিয়া আমায় দে রে দে ছাড়িয়া” আধ্যাত্মিক এই গানটির বিষয়ে জানতে চাইলে নাজমুল আবেদিন আবির আমাদের বাণী ডট কম’কে বলেন, নীল দরিয়া গানটি আমার খুব পছন্দের একটি গান তাছাড়া সামাজিক দূরত্ব যেন আমাদের একাকরে ফেলছে আর প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে দিচ্ছে হাহাকার। এ ধরনের ভাবনায় গানটি গাওয়ার ইচ্ছে হলো। মানুষ যেন বাসায় একাকীত্ব অনুভব করে অযথা রাস্তায় না বের হই এই চিন্তা থেকেই গানটিতে নতুন ভাবে গাওয়ার চেষ্টা করেছি । শ্রোতাদের প্রতি অনুরোধ আপনার বাসায় থাকুন নিজে বাঁচুন আপনার পরিবারকে বাঁচাতে সহযোগিতা করুণ। সময় কাটাতে আমার কন্ঠে গাওয়া এই গানটি শুনতে পারেন। মন ভালো হয়ে যাবে। ‘
আমাদের বাণী ডট কম/৩১  মে ২০২০/সিসিপি 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।