মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন;

নীরবে ভিজে যায় চোখরে পাতা,
কষ্টরে আঘাতে বেড়ে যায় বুকের ব্যথা,
জানিনা এই ভাবে কাটাতে হবে কতদিন আমাদের
এই জীবনে কি আসবে না সুখের দিন
মি. “ক” ও “স” সাহেবরা কি সর্বদা থাকবে রঙিন!
বলতে চেয়েও কিছু কিছু কথা আছে বলতে পারিনা
যাচাই বাছাই নামে কালক্ষপেণ তাও সইতে পারিনা!
চাই অতি দ্রুত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ
শিক্ষকদের মনে আবারো ফিরে আসুক সুখের আবেগ।

৩০ জুন ২০১৬ সালের সন্ধ্যাটা ছিল খুবই আনন্দের। পরিবারের সকলের মুখে ছিল অফুরন্ত হাসি কেননা সবাইর ভিতর কাজ করছিল কলেজ সরকারিকরণের রেষ। আজ ৩০ জুন ২০২০, কলেজ সরকারিকরণের ৫ বছর পূর্তি। কলেজ সরকারিকরণ চলমান তবে আনন্দের বিন্দুমাত্র রেষ নেই কারোর মনে। আছে শুধু হতাশা আর উৎকন্ঠা।

ঘটনা-১ঃ আমার পাশের কলেজ মাটিরাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আমার বাবার বাল্যবন্ধু। তিনি ৩০ জুন ২০১৬ সালের সরকারিকরণের নিউজটা পেয়েছিলেন একদিন পর, সরকারিকরণের নিউজ পেয়ে অত্যন্ত আনন্দচিত্তে আমাকে কল দিয়ে বললেন যাক বাপ-বেটা একসাথে সরকারি। তবে এখন আর তার ভিতর সেই আনন্দেও ছিটেফোঁটাও নেই। কারণ ৫ বছরে সরকারিরণের কাজ শেষ হয়নি, আল্লাহই জানেন লালফিতার দৌরাত্মে, ষড়যন্ত্রে আর কত বছরে তা শেষ হবে! ততদিনে কি উনার বয়স ৫৯ থাকবে?

ঘটানা-২ঃ বিধান বাবু সরকারিকৃত কলেজের একজন গ্রন্থাগারিক। করোনা পরিস্থতির আগে কিছু ব্যক্তিগত কাজে ওনাদের কলেজে গিয়েছিলাম। কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়ের কক্ষের সামনে তার সাথে দেখা। মুখটা মলিন। অন্যদিন আমাকে দূর হতে দেখলেই হাসিমাখা মুখ নিয়ে এগিয়ে আসতেন আজ তিনি সম্পূর্ণ ব্যতীক্রম। বুঝতে পারলাম হয়ত কোনো সমস্যা হয়েছে। কাছে এগিয়ে যেতেই জোর করে মুখ থেকে বিষাদে ভরা হাসি বের করে বললেন, ‘মাফ করে দিয়েন স্যার, আপনাদের সাথে হয়ত আর এই কলেজে দেখা হবে না, সাথে আমার সরকারি হওয়া হলো না’। তাঁর চোখের দিকে তাকাতেই লক্ষ করলাম অশ্রæ ঝরছে। আমি নিজেও কিছুটা থতমত খেয়ে গেলাম। কী হয়েছে আপনার, এমন করে বলছেন কেন, কোনো সমস্যা? এক নাগারে অনেকগুলো প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম। নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন, ‘না স্যার আজ থেকে আমার চাকরির বয়সসীমা শেষ। আজকেই আমার কর্মজীবনের শেষ দিন। ভেঙে বলাতে বুঝতে পারলাম আসল ব্যাপার। কর্মজীবনের শেষ প্রান্তে এসে অনেক স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি। সরকারি সুবিধা পেয়ে অবসরে যাবেন এই তৃপ্তি ছিল তার। ৭ আগস্ট ২০১৬ সালে মাউশির আঞ্চলিক ডিজি স্যার ওনারদের কলেজ আসলেন ডিড অফ গিফট এর কাজ সম্পাদন করতে। তাই আমি ও আমার অধ্যক্ষ সেখানে গেলাম কিছুট অভিজ্ঞতা নিতে কারণ তার পরদিন আমাদের ডিড অফ গিফট সম্পন্ন হবে। সেদিন বিধান বাবুকে দেখেছিলাম খুবই উৎফুল্ল অথচ আজ তাঁর মুখ মলিন বিষাদে ভরা।

ঘটনা-৩ঃ সদ্য সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষকদের অধিকার আদায়ে কাজ করি বলে পাশর্^বর্তী কলেজের সহকারী অধ্যাপক নাঈম স্যার ও বশির স্যার ২০১৭ সাল থেকে আমার কাছে প্রতিনিয়ত কল দিয়ে সরকারিকরণের খোঁজ খবর নিতেন। বলতেন আপনারা নেতৃবৃন্দ কাজ করে যান যেন দ্রæত সরকারিকরণ শেষ হয়, কারণ ২০১৯ সালের মার্চ এপ্রিলে আমাদের ৫৯ বছর পূর্ণ হবে। আমি বারবার আশ^স্ত করেছিলাম এর মধ্যে সরকারিকরণের কাজ শেষ হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। আজ ৩০ জুন ২০২০ জানিনা আরো ২-৩ বছরেও কলেজ সরকারিকরণে কাজ শেষ হবে কিনা। তাদের আশ^স্ত করার সময় কি জানতাম? লাল ফিতার দৌরাত্ম এতটা! ষড়যন্ত্রের জাল এত বেশি বিস্তৃত! খুব কষ্ট হয় আমার যারা ২টা বছর আমাকে নিয়মত কল দিতেন মার্চ-এপ্রিল ২০১৯ সালের পর হতে তাদেরকে আর আমাকে কল দেওয়ার প্রয়োজন পরেনা। তারাতো পাওয়া জিনিস হতে বঞ্চিত হয়ে একবুক কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছেন।

ঘটনা-৩ঃ নেয়ামত স্যার ননএমপিও সদ্য সরকারিকৃত একটি কলেজের অধ্যক্ষ, তিনি উক্ত কলেজে ২০১৫ সালে যোগদান করেছেন। উক্ত কলেজে যোগদান করার পূর্বে একটি প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত প্রভাষক ছিলেন। তিনি তার ৪ জনের পরিবারসহ একটি বিভাগীয় শহরে ভাড়ায় থাকেন শুধুমাত্র বাচ্চাদের ভাল পড়াশোনার জন্য। কলেজ সরকারিকরণের আগে গভর্ণিং বডি যা বেতন দিত তা দিয়ে সংসার মোটামুটি চলে যেত। সরকারিকরণ হওয়ায় বর্তমানে গভর্ণিং বডির বেতন বন্ধ, কোন সংস্থা কিংবা দানবীর ব্যক্তিও আর অনুদান প্রদান করেন না, সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের টিউশর ফি নিতে না পারায় ফান্ড শূন্যতায় প্রায় ২০ মাস ধরে অধ্যক্ষসহ সকল শিক্ষক কর্মচারীর বেতন বন্ধ। দুএকদিন আগে ওনার সাথে কথা হয়েছে উনি বলছেন কিছু টাকা জমানো ছিল তা তো বসে বসে খেয়ে শেষ এখন পরিবার কিভাবে চালাবো তাই শহরের বাসা ছেড়ে সবাইকে নিয়ে গ্রামে চলে আসলাম। অন্তত লতা পাতা খেয়ে তো বাঁচতে পারব।

ঘটনা-৪ঃ রফিব সাাহেব নন এমপিও শিক্ষক। যেহেতু হিসাববিজ্ঞানের শিক্ষক তাই ৪ বছর ধরে টিউশনি করে মোটামুটি জীবন যাপন করেছেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সব বন্ধ। মাউশি নির্দেশনায় সম্প্রতি ঈদের আগে এফডিয়ার ভেঙ্গে ২ মাসের স্থলে কোনরকম দেড় মাসের বেতনের সংকুলান হয়েছে। বর্তমানে কলেজের আর কোন ফান্ড নেই যে বেতন দিবে তবে সে ও তার কলেজের শিক্ষকরা আগামী দিনগুলো কিভাবে চলবে?

ঘটনা-৫ঃ সাইফ স্যার এক সরকারিকৃত কলেজের নন এমপিও শিক্ষক। ঈদের দিন কল দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কেমন আছেন? মোবাইলের ওপাশ হতে কান্নার শব্দ স্যার কেমন থাকব? ইউএনও অফিস হতে যদি ঈদের আগের দিন চুপিসারে কিছু সেমাই চিনি না দিত তবে তো আত্মহত্যা ছাড়া উপায় ছিল না। কারণ কলেজ ফান্ডে টাকা থাকাও সত্তে¡ও ১৮ মে ২০২০ সালে মাউশির ইস্যুকৃত চিঠির ৩নং শর্তের কারণে কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয় কোন টাকা দেয়নি। বাসায় বৃদ্ধ অসুস্থ মা চিকিৎসা করানোর মত টাকা নেই। শিক্ষকতো কারোর কাছে হাত পাততেও পারছিনা।

ঘটনা-৬ঃ আনিস স্যার এক সরকারিকৃত কলেজের নন এমপিও শিক্ষক। ১৮ মে ২০২০ সালে মাউশির ইস্যুকৃত চিঠিতে এফডিয়ার ভেঙ্গে হলেও বেতন দিতে বলা হলেও কোন কারণ ছাড়া অধ্যক্ষ বেতন দিতে রাজী হননি, বরং তাঁর রাজনৈতিক প্রভাবের কথা উল্লেখ করে ভয় দেখান যে বেতনের কথা বলেলে সরকারিকরণের সমস্যা হবে। করোনয়ায় যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মন প্রাণ উজাড় করে সাহায্য সহযোগিতা করছেন এবং সাহায্য করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে আহবান জানিয়েছেন সেখানে কিনা আনিস স্যারের মত শিক্ষকরা তার অধ্যক্ষ কর্তৃক ন্যায্য পাওনা হতে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

এখানে শুধুমাত্র কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করলাম। সদ্য সরকারিকৃত কলেজের সকল শিক্ষকদের সার্বিক অবস্থা এই ৬টি ঘটনার মধ্যেই প্রতিফলিত, এগুলো যেন সরকারিকৃত ৩০৫টি কলেজের সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের ঘটনা। শিক্ষকদের এই মানবেতর জীবন যাপনের দায় কার! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাননীয় প্রানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিগত ৩০ জুন, ২০১৬ সালে অর্থাৎ প্রায় ৪ বছর আগে ১৯৯টি কলেজ ক্রমান্বয়ে অদ্যবধি ৩০৫টি কলেজ সরকারিকরণের ঘোষণা দেন। কিন্তু বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারদের একাংশের বৈরী, অসৌজন্যমূলক ও অসহযোগিতামূলক আচারণ সাথে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য সবমিলিয়ে ওইসব প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর চাকরি আত্তীকরণ সম্ভব হয়নি। ফলে এই ৫ বছরে প্রায় ৮০০ শিক্ষক সরকারি কোনরূপ সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই বেসরকারিভাবেই অবসরে গেছেন, নিদারুণ অর্থে কষ্টে ভুগছেন প্রায় সাড়ে ৫ হাজার নন-এমপিও শিক্ষক, শিক্ষক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে সদ্য সরকারিকৃত কলেজগুলোর স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম।

অনেকটা অহেতুক দীর্ঘ সময় নষ্ট করে গত ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সকল কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। অহেতুক সময় নষ্ট করার বলার কারণ হচ্ছে- কাগজ যাচাই বাছাই করার নামে যে সময় তারা নষ্ট করেছেন আমি মনে করি তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রোণিত ও অযৌক্তিক। কেননা বেসরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ প্রদান হতে শুরু করে এমপিও প্রদান, সিনিয়র স্কেল, প্রমোশন সব কিছু তাদের হাত দিয়ে হয়েছে। তবে এখন কেন বলা হচ্ছে? কতিপয় শিক্ষকদের নিয়োগ অবৈধ, এমপিও অবৈধ। আর এত জাল সনদধারী শিক্ষকের চাকুরী এমপিও বা হল কি করে? মাউশিতে তো আর বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের কর্তৃত্ব নেই। তার মানে কি বলতে হবে- “সর্ষের মধ্যে ভূত”!

বিসিএস শিক্ষা সমিতির একাংশের মূল দাবি ছিল সদ্য সরকারিকৃত শিক্ষকেেদর নন ক্যাডার করা। ২০১৮ বিধিতে তো আমাদেরকে নন ক্যাডার করা হয়েছে। তারপরও তারা কারা যারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হয়ে প্রজাতন্ত্রের কাজকে অহেতুক দীর্ঘায়িত করছে? মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে বাস্তবায়ন করতে গড়িমসি করছে? আসলে কি আমাদেরকে নন ক্যাডার করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল? নাকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যুগোপযোগী, সুন্দর, আনন্দময় উদ্যোগকে বিষাদে পরিণত করাই তাদের উদ্দেশ্য! প্রধানমন্ত্রীর অর্জনকে ম্লান করাই তাদের উদ্দেশ্যে!

মাউশিতে যখন শেষবার মূল কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের কাজ চলছিল তখন আমার কলেজের পক্ষে আমিও সেখানে গিয়েছিলাম। যাচাই বাছাইয়ের সময়ে দেখলাম সারা দেশে অভিজ্ঞ ও সিনিয়র বিসিএস শিক্ষা কর্মকর্তা থাকতে কিছু জুনিয়র শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা যারা কিনা- “নো বিসিএস, নো ক্যাডার” আন্দোলনের নেপথ্যে ছিল তাদেরকে দিয়ে যাচাই বাছাইয়ের কাজ করানো হয়েছে। কেন এমনটা করা হল? মূল উদ্দেশ্য কি বেসরকারি শিক্ষকদের অপদস্ত করা? যাচাই বাছাইয়ের সময়ে বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও অনেক সিনিয়র শিক্ষকদের সাথে তাদের অধিকাংশদের আচারণ-কথাবার্তা শোভন ও সহযোগিতামূলক ছিল না। আমি দেখেছি কিছু কলেজের অধ্যক্ষ রাগে ক্ষোভে যাচাই বাছাইয়ের কক্ষ হতে বের হয়ে গেছেন, অনেকে নীরবে অশ্রু সংরবণ করেছেন। যা খুবই দুঃখজনক।

“লেবু বেশি কচলালে তেতো হয়” ঠিক সরকারিকরণের অবস্থা বর্তমানে এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে আনন্দময় সরকারিকরণ আজ বিষাদে রূপ নিয়েছে, ঠিক যেন এমন- “ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি”। তাই অনেকেকে আজ বলতে শুনি- “ফিরিয়ে দাও আমার বেসরকারি, লও এ সরকারি”। নেপোলিয়ান যদি আজ বেঁচে থাকত তবে সদ্য সরকারিকৃত শিক্ষকদের আর্থিক দূরাবস্থা দেখে তিনি ঠিক বলতেন –“আমাকে মাসে মাসে বেতন দাও আমি তোমাদেকে অভাবমুক্ত পরিবার দিব”। সরকারি কর্তকর্তা হয়ে যদি সরকারি ঘোষণা বাস্তবায়নে অযৌক্তিক আন্দোলন না করতো তবে এতদিন সরকারিকরণের কাজ শেষ হয়ে যেত আর শিক্ষকদেরকেও অমানবিক জীবন যাপন করতে হতো না।

দুটি কারণে গত রমজানের ঈদ ভাল কাটেনি। একটি হচ্ছে করোনার প্রভাব অন্যটি হচ্ছে সদ্য সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষকদের আর্তনাদ। যেহেতু আমি শিক্ষকদের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করছি তাই রমজানের ঈদের প্রায় ১০ দিন পূর্ব হতে সমগ্র দেশের সদ্য সরকারিকৃত কলেজের নন-এমপিও শিক্ষকরা তাদের দুর্দশার কথা জানিয়েছেন, অনেকে কেঁদেছেন। তাঁদের এই অসহায় অবস্থায় আসলে শান্ত্বনা দেওয়া ছাড়া কিছুই করার ছিল না। তাদের আর্তনাদ কানে এমনভাবে বেঁজে উঠেছিল যে বেশ কয়েকরাত ঘুমাতে পারিনি। রমজানের ঈদের আগে কিংবা কিছুদিন পরে কলেজের ফান্ড স্বল্পতার কারণে এফডিয়ার ভেঙ্গে কিছু কলেজের শিক্ষক ১ মাস, অর্ধেক মাস কিংবা ২ মাসের বেতন নিতে সক্ষম হয়েছিল। তবে সামনে কেরাবানির ইদ নেই কলেজের ফান্ড, নেই এফডিয়ার তাহলে সরকারিকৃত কলেজের নন-এমপিও শিক্ষকদের কোরবানীর ঈদ কি যে করুণ অবস্থায় কাটবে তা ভাবতেই খারাপ লাগছে।

তাই এ দুর্দশা লাঘবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়ের সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কোন উপায় নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে করোনার ভিতর যেমন প্রায় ২৭০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানি এমপিওভুক্ত হয়েছে ঠিক আমরাও চাই এমন একটি হস্তক্ষেপ যাতে আগামী দু একমাসের ভিতরেই ৩০৫টি কলেজ সরকারিকণ হয়।

  • লেখকঃ  কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদ (বাসকশিপ)

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।