গাজীপু‌র সদর উপ‌জেলার বা‌ড়িয়া ইউ‌নিয়‌নের কেশোর্তা এলাকার ফ্যান তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুরো কারখানা পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন ১০ জন।

জানা যায়, নিহতরা সবাই শ্রমিক ছিলেন। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

রবিববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. জাকারিয়া খান জানান, রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার বারিয়া ইউনিয়নের কেশরিতা এলাকায় ওই ফ্যান কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়। দরজার কাছে আগুনের সূত্রপাত হলে শ্রমিকরা ভেতরে চলে যায়। চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়লে তারা ভেতরে আটকে পড়েন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ভেতর থেকে ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয় বলেও জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার সন্ধ্যায় এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলে কর্মচারীরা এদিক-সেদিক ছুটতে শুরু করেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ বের হতে পারলেও অনেকেই ভেতরে আটকা পড়েন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, সন্ধ্যায় গাজীপুর সদর উপজেলার কেশোরিতা এলাকায় লাক্সারি ফ্যান তৈরির কারখানার তিনতলায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে তাদের সাথে যুক্ত হয় আরো দুইটি ইউনিট।

জয়দেবপুর থানার (ওসি) জাবেদুল ইসলাম বলেন, ‘কারখানাটি তিন তলা। তবে দোতলা পর্যন্ত বিল্ডিং। এর উপরে টিনের শেড। পুরোটাই পুড়ে গেছে। নিহত ১০ জনের পুড়ে যাওয়া মরদেহ কারখানার ভেতরে পাওয়া গেছে। আরো হতাহত থাকতে পারে। ভেতরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যা তল্লাশি করে দেখছেন।’

আরমান নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, ‘আমি রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় দেখি মানুষ কারখানার ভেতর থেকে দৌড়ে বের হচ্ছে। এ সময় ভিতরে ধোয়া দেখতে পেয়েছি। অনেকে ‘আগুন, আগুন’ বলেও চিৎকার করছিলেন।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।