পটুয়াখালীর বাউফলে ৬ বছরের শিশু সন্তানের সামনে তার শিক্ষক বাবাকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে।

রবিবার সকালে মদনপুর ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই শিক্ষককে গুরুতর আহত অবস্থায় বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, মদনপুর দরগাবাড়ি সরকারী প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলামের সাথে জমিজমা নিয়ে একই গ্রামের সোনাগাজী ও আলম গাজী গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহিদুল ইসলাম বাড়ি থেকে প্রায় পৌনে ১ কিলোমিটার দূরে জমির ধান কাটতে যান। এসময় তার সাথে ৬ বছর বয়সের মেয়ে জেরিন ও কাদের হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি ছিলেন।

ধানকাটার সময় সোনাগাজী ও আলম গাজীর নেতৃত্বে ৮-১০ জন লোক দেশী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে এসে বাধা দেয়। বাকবিতান্ডার একপর্যায়ে সহিদুল ইসলামকে তার মেয়ের সামনে এলাপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। বাবার উপর নির্যাতনের দৃশ্য দেখে তখন অবুঝ শিশুটি হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন। এরপর তিনি পৌনে ১কিলোমিটার পথ দৌঁড়ে বাড়ি গিয়ে মা তানিয়া বেগমকে খবর দেন।

তানিয়া বেগম জানান, খবর পেয়ে তিনি স্বামীকে রক্ষার জন্য ঘটনাস্থানে গেলে তাকেও বেধরক মারধর করে আহত করা হয়। এরপর হামলাকারীরা তার স্বামীকে শার্টের কলার ধরে টেনে হেচরে প্রায় কোটার মাইল দূরে স্থানীয় সোহরব খানের বাড়ির সামনে নিয়ে যায়। সেখান থেকে স্বজনরা এসে তাকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন।

প্রতিপক্ষ সোনা গাজীর বলেন, সহিদুল মাস্টার আমাদের জমির ধান কাটতে ছিল, খবর পেয়ে আমরা এসে বাধা দিলে তিনি ও তার লোকজন আমাদের উপর হামলা করে এবং আমাকেসহ আমার স্ত্রী মিনারা বেগম ও ভাইয়ের স্ত্রী ময়না বেগমেকে মারধর করে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।