হুমায়ুন কবির, কুষ্টিয়া জেলা সংবাদদাতা; কুষ্টিয়ার নদী এলাকাগুলোতে ৪ নাম্বার স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে চলতে বলা হয়েছে।   ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে দেশের প্রায় অর্ধেক অঞ্চলের নদীবন্দরের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা তারও অধিক বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়-বৃষ্টি বয়ে যেতে পারে। সেসব অঞ্চলের নদীবন্দরকে ৪ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আজ বুধবার (২০ মে ২০২০) বিকেলে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

তাতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে কুষ্টিয়া,  রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর , খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা আরও অধিক বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ৪ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেতও দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে সকাল থেকেই কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা, মিরপুর দৌলতপুর অঞ্চলে বৃষ্টিসহ ঝড়ো বাতাস বইছে। প্রমত্তা পদ্মাও উত্তাল চিত্র লক্ষ করা গেছে। তবে কুষ্টিয়ায় ঝড়ে কিছু ঘরবাড়ীর ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেলেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোন প্রাণহানি কিংবা আহতের খবর পাওয়া যায়নি।

 মংলা ও সুন্দরবন অতিক্রম করছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান।  সাতক্ষীরার উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এর আগে ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধার  দিকে উপকূলের বাংলাদেশ অংশে পৌঁছে। ভারতের সাগরদ্বীপের পাশ দিয়ে সুন্দরবন ঘেঁষে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ভূভাগে উঠে আসছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়ার পর স্থলভাগে তাণ্ডব চালাতে চালাতে অগ্রসর হচ্ছে কলকাতার দিকে, এর বিস্তার প্রবেশ করেছে বাংলাদেশেও।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান বিকাল ৫টার দিকে উপকূলের বাংলাদেশ অংশে পৌঁছেছে। ভারতের সাগারদ্বীপের পাশ দিয়ে সুন্দরবন ঘেঁষে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ভূভাগে উঠে আসছে। ওই সময় এর কেন্দ্রের কাছে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝেড়ো হাওয়ার আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।

আমাদের বাণী ডট/২০ মে ২০২০/পিবিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।