নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা;   চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে রাজধানীতি টানা ১২ দিন ধরে  অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (সেকায়েপ) প্রকল্পের প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষক।

আজ শুক্রবার (১৩ মার্চ ২০২০)  জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই অবস্থান করছেন তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা  জানিয়েছেন, তারা চাকরি স্থায়ীকরণের প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূ‌চি চালিয়ে যাবেন। এসিটি ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. রুহুল আমিন বলেন, সেকায়েপ প্রকল্পের আওতায় নিয়োগ পাওয়া অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি)’র শিক্ষকরা চাক‌রি স্থায়ীকর‌ণের দাবিতে ১১তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসু‌চি পালন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সকাল-সন্ধ্যা আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।

আরও পড়ুন; টানা পাঁচ দিন ধরে রাজপথে পাঁচ হাজার শিক্ষক!

এ বিষয়ে এসিটি ঐক্য পরিষদের প্রধান উপ‌দেষ্টা মা‌হিউদ্দিন মা‌হি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সুপা‌রিশ ও প্রতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসের পরও গত ২৬ মাস বিনা বেতনে পাঠদান করেও চাকরি স্থায়ী হয়নি। অভিজ্ঞতা ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বিশেষ অবদান এবং মানবিক দিক বিবেচনা করে চাকরি স্থায়ীকরণ, বিনাশর্তে দ্রুত এসইডিপি প্রোগ্রামে আমাদের নেয়া হোক। মুজিববর্ষকে সামনে রেখে মহান স্বাধীনতার মাসে আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

আন্দোলনকারিরা জানান, ২০১৫ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে বিষয়ভিত্তিক মানসম্মত শিক্ষককের অনুপস্থিতির কারণে শিক্ষাবান্ধব সরকার সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট (সেকায়েপ)-এর মাধ্যমে সারাদেশে ৫২০০ স্নাতক ও স্নাতকত্তোরধারীদের বিষয়ভিত্তিক (ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান) অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) হিসেবে তিন বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়। যাদের মডেল শিক্ষক বলা হয়।

নিয়োগটি চুক্তিভিত্তিক হলেও এসিটি ম্যানুয়াল অনুযায়ী ও মাধ্যমিক পর্যায়ে পাসের হার বৃদ্ধি ও বিষয়ভিত্তিক মান বৃদ্ধির সঙ্গে ঝরে পড়া রোধ, নিয়মিত ক্লাসের বাইরে তিন বিষয়ে ৩৭ লাখ ২০ হাজার ৯৪ অতিরিক্ত ক্লাস নেয়ার ফলে কোচিং বাণিজ্য হ্রাসের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য চাকরি স্থায়ীকরণ হওয়ার কথা। কিন্তু ২০১৮ সালে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও গত ২৬ মাসে চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় অধিকাংশ এসিটির সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স শেষ।

বিনা শর্তে এসইডিপি প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্তির জন্য সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে তারা বলেন, মেয়াদ শেষে ২০১৮ সালে এমপিওভুক্তির জন্য এসিটিদের তালিকা প্রস্তুত করা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। মেয়াদ শেষে এসিটিরা ২৬ মাসে বিনা বেতনে পাঠদান করে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অপরদিকে শিক্ষামন্ত্রণালয় ভাবছে অভিজ্ঞ এসি

আমাদের বাণী ডট কম/১৩ মার্চ ২০২০/বিসিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।