শাহীন আলম, দূর্গাপুর  (রাজশাহী) সংবাদদাতা; জেলার দূর্গাপুরে ঐতিহ্যবাহী কালিতলার শতবর্ষী পাইকর গাছ প্রশাসনের কোনো রকম অনুমতি ছাড়াই কাটছে মন্দির কর্তৃপক্ষ ।
এলাকাবাসী বলছে এখানে কালীপূজো প্রচলন হওয়ায় অনেক আগে থেকেই আছে এই পাইকার গাছ । আমাদের বাপ দাদারাও এই গাছ এমনি দেখেছে কিন্তু মন্দির সম্প্রসারণ নামে একটু একটু করে কেটে ফেলা হচ্ছে গাছের অনেক অংশ।
দূর্গাপুর বাজারের বাসিন্দা সফিক মিয়া জানান, এই গাছ আগে অনেক বড়ো ছিলো চারিদিকে এর দাড়ি ঝুলে থাকতো আমরা ছোট্ট থাকতে তা বেয়ে বেয়ে গাছে উঠতাম। আমাদের বাপ দাদারাও এই গাছটি কে এমনি দেখেছে। তারা বলতো আগে এটা পাইকড় তলা নামে পরিচিত ছিলো। কেউ এর সঠিক বয়স বলতে পারবে না কিন্তু এটা শতবর্ষী সেটা সন্দেহ ছাড়াই।আমার খুবই খারাপ লাগছে আস্তে আস্তে গাছটিকে কেটে ফেলা হচ্ছে ।

সরকারের কোনো রকম অনুমতি ছাড়া সরকারি বৃক্ষ এর একটি ডাল কাটাও আইনত ডন্ডনিয়। কিন্তু কোনোরকম প্রশাসন এর অনুমতি ছাড়াই শতবর্ষী এই ঐতিহ্যবাহী গাছ কাটার ব্যাপারে মন্দির কর্তৃপক্ষ বলে। আমারা সুধু মরা ডাল কাটছি গাছ কাটছী না। তাদের প্রশ্ন করা হলো, এতো মোটা মোটা কাচা ডাল কিভাবে ডাল ছাটা হতে পারে? এটার কোনো উত্তর পাওয়া যাইনি।

এই বিষয়ে উপজেলার নির্বাহী আফিসার মোঃ মহাসীন মৃধা মুঠো ফোনে জানান, এই বিষয়ে তাকে কোনো কিছুই জানানো হয়নি বা কোনো অনুমিত ও নেয়নি।

দূর্গাপুরে এর সাধারণ মানুষের একটাই দাবী শতবর্ষী এই পাইকর গাছটিকে রক্ষা করা হোক। ঐতিহ্য এর উপর আঘাত হানার জন্য দোষী দের শাস্তির আওতায় আনা হোক।

আমাদের বাণী ডট কম/২৫ মার্চ ২০২০/টিএ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।