ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা; চলমান চরম শিক্ষক সংকট দূর করতে শূন্যপদ পূরনের ভিত্তিতে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৮ প্যানেলে নিয়োগের ব্যাপারে সম্মতি প্রকাশ করেন ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাংসদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো: দবিরুল ইসলাম।
প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৮ সর্বোচ্চ সংখ্যক ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী আবেদন করেন যার মধ্যে থেকে ৫৫,২৯৫ জন(২.৩%) পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় । অধিক পরিমাণে শূন্যপদ থাকার সত্ত্বেও ৫৫,২৯৫ জন থেকে মাত্র ১৮১৪৭ জন পরীক্ষার্থীকে চূড়ান্ত ভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। বাকি ৩৭ হাজার মেধাবী শিক্ষার্থী নিয়োগ বঞ্চিত হন। প্রাথমিকে রীট জটিলতার কারণে ২০১৪ থেকে ২০১৮ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বন্ধ ছিল। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে ভুক্তভোগী নিয়োগ বঞ্চিতদের কাছ থেকে জানা যায়, দীর্ঘ ৪ বছর পর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ায় অনেক পরীক্ষার্থীর চাকরিতে প্রবেশের বয়স শেষ হয়ে যায় এবং যারা পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ পায় বেশির ভাগেরই এটি ছিল শেষ চাকরির পরীক্ষা। ফলে চরম হতাশার মধ্যে তারা দিন কাটাচ্ছেন। তাই তারা প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগের দাবি জানান। তাছাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক, এনএসআই, রাষ্ট্রীয় সরকারি ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষের দিকে। ফলাফল প্রকাশিত হলে চূড়ান্ত নিয়োগ প্রাপ্তদের কিছু অংশ অন্য পেশায় যোগদান করবেন যার ফলে আরও বেশ কিছু পদ খালি হয়ে যাবে।
জানা যায় , বর্তমানে প্রাথমিকে শূন্যপদ রয়েছে প্রায় অর্ধ লক্ষ। এছাড়াও নতুন পদে বর্তমানে ১ লাখ ৯৬৬ জন শিক্ষক পদ সৃজন প্রক্রিয়াধীন। সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে ৬৫ হাজার শিক্ষক পদোন্নতি হলে ৬৫ হাজার সহকারি শিক্ষকের পদ শূন্য হবে। ৬৫ হাজার হিসাব রক্ষকের পদ সৃষ্টি হবে।
তাছাড়া অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান সাজু সোমবার ১২.২০ মিনিটে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) আয়োজিত ‘ভার্চ্যুয়াল’ সংবাদ সম্মেলনে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্যানেল শিক্ষকদের যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগদানের জোর দাবি জানান।
বিপুল সংখ্যক শূন্যপদ খালি থাকার কারণে ব্যাহত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান ও ভয়াবহ হচ্ছে শিক্ষক সংকট।
মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলহাজ্ব মো:দবিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের প্যানেলে নিয়োগ দেওয়া হলে চলমান শিক্ষক সংকটের নিরসন হবে ও শিক্ষার গতি বেগবান হবে।
আমাদের বাণী ডট কম/০৮ জুন ২০২০/সিসিপি