নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা;  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক শিফট নিয়ে  ভাবনার কথা জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন। গত রবিবার (০১ মার্চ ২০২০) গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর পিটিআই এ জেলার ৭৭৫জন প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা/জেলার সকল এইউইও/ইউইও/ইন্সট্রাক্টর ও এডিপিইওগণের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব বলেন, শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে বিদ্যালয়গুলোকে একশিফটে রুপান্তরিত করা হবে!

অন্যদিকে পরীক্ষামূলকভাবে  প্রাথমিকের সময়সূচী সকাল ১০ টা থেকে চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০) ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনে সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ ও মা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আরও পড়ুন; পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে প্রাথমিকের সময়সূচী সকাল ১০ টা থেকে

সমাবেশে আগত মায়েদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা হচ্ছেন ছেলেমেয়েদের প্রথম শিক্ষক। আপনারা মা হিসাবে ছেলেমেয়েদের সহযোগিতা দেবেন। আমরা দেব মানুষ তৈরি করার যাবতীয় অস্ত্র। সমাবেশে মায়েদের ১০টায় স্কুলের সময়সূচি করার দাবির প্রেক্ষিতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নান্দাইল থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে ১০টায় স্কুল শুরুর সময়ের একটা প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে এই পদ্ধতি সারা দেশে বাস্তবায়ন করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ৩৬ হাজার ১৭৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করেছিলেন। তার পর কত সরকার এল কিন্তু কোনো সরকারই বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকারিকরণ করেনি। বাবার পর আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করেছেন।শেখ হাসিনার সরকার নারী বান্ধব সরকার। তাঁর সরকার নারীদের জন্য সম্ভব সব কিছু করছেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আকরাম আল হোসেন গাজীপুরের ঐ মতবিনিময় সভায়  জানিয়েছেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলীর নীতিমালা এ বছরে থেকেই অনলাইন এবং সারা বছর শিক্ষকদের বদলির সুযোগ থাকবে।চলতি বছরের এপ্রিল থেকে অনলাইনে বদলির সযোগ পাবেন শিক্ষকরা এবং এপ্রিল মাস থেকেই সারাবছর বদলির সুযোগ থাকবে।

আরও পড়ুন; অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি শুরু এপ্রিলে!

তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই বিদ্যালয়ের অবকাঠামো সংক্রান্ত তথ্যাদি সংগ্রহ করা হয়েছে সে অনুযায়ী বিদ্যালয়ে নতুন শ্রেণীকক্ষ নির্মাণ করা হবে, প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সরবরাহ করা হবে এবং শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে যাতে বিদ্যালয়গুলোকে একশিফটে রুপান্তরিত করা যায়।

গণশিক্ষা সচিব নির্দেশনা দিয়ে আরও বলেন, সকল বিদ্যালয়ে শতভাগ ছাত্র/ ছাত্রীরা যাতে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে শুদ্ধভাবে পড়তে ও লেখতে পারে এজন্য শতভাগ শির্ক্ষাথীদেরকে প্রতিদিন একপৃষ্ঠা লেখা ও পড়ার কাজ দিতে হবে এবং তা যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।

গাজীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসা জনাব মো: মোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে মাহপরিচালক মো: ফসিউল্লাহ এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেপ এর মহাপরিচালক মো: শাহ আলম ।

আমাদের বাণী ডট কম/০৫ মার্চ ২০২০/ভিপি 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।