চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় এক প্রবাসী নারীকে প্রেম নিবেদনের পর সাড়া না দেওয়ায় বিভিন্নভাবে উত্ত্যেক্ত ও পরে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে এক যুবক। এ ঘটনায় চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালতে ওই নির্যাতিত নারী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০০ইং সনের (সংশোধিত ২০০৩ইং) ৯(৪)(খ) ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামী করা হয় একই উপজেলার আমিনপুর গ্রামের আঃ কাদির প্রধানের ছেলে ফরাযীকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার খোকন প্রধানকে (৩৮)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড় হলদিয়া গ্রামের ওই গৃহবধু প্রবাস থেকে ছুটিতে আসেন। এরপর থেকে আসামী খোকন প্রধান তাকে বিভিন্নভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসতো। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যেক্ত করতো। এ অবস্থায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারী বাদী তার এক আত্মীয়ের বাড়ি বড় হলদিয়া গ্রামের প্রধানিয়া বাড়িতে বেড়াতে আসলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে ও খারাপ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে আচরণ করে। এ ব্যাপারে মেম্বার খোকনকে মৌখিকভাবে বাঁধা নিষেধ করলে সেখানেই তাকে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে সে। অনেক পাচরাপাচরি করে ধর্ষণের হাত থেকে বেঁচে যায় সে। তার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোক আসতে থাকলে খোকন পালিয়ে যায়। আসামীর এই এহেন আচরণের কারণে বাদী শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সুষ্ঠু বিচার না পেয়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারী চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন ওই নারী।

এদিকে মামলা হওয়ার পর উক্ত মামলা চাঁদপুর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মো. মামুনূর রশিদ সরকার মামুন এর কাছে তদন্ত ভার ন্যাস্ত হয়। তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা আগামী ৪ মে সকালে বাদী, বিবাদী ও সকল সাক্ষীদেরকে চাঁদপুর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য একটি নোটিশ জারি করেছেন।

নির্যাতিত নারী সাংবাদিকদের বলেন, খোকন মেম্বার অনেকদিন যাবৎ আমাকে উত্ত্যেক্ত করে আসছে। তাকে কিছু বললেই সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। আমার মানসম্মান নিয়ে সে খেলেছে। আমি আদালতের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার সেলামতী গ্রামের মো. এমারত হোসেনের মেয়ে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত খোকন মেম্বার বলেন, আমি একজন শিক্ষিত ব্যক্তি। একটি নামী দামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত আছি। আমাকে সমাজে হেও পতিপন্ন করার জন্য একটি কুচক্রি মহল মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেস্টা করছে। গত ফেব্রুয়ারী মাসে সরকারি রাস্তার কাজ করতে গিয়ে ভেকু মেশিন যাওয়ার পথে ওই মহিলার একটি টয়লেট ভেঙ্গে যায়। কিন্তু আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না, পরে এসে জানতে পারি। এসব বিষয়টা নিয়ে ওই মহিলাকে দিয়ে কিছু মানুষ আমাকে ফাঁসাতে চক্রান্ত করছে।

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।