আব্দুল কাদের; “একজন দেশপ্রেমিক”মাননীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, জনাব আকরাম আল হোসাইন। দেশপ্রেম ঈমানের অংশ। যে ব্যাক্তি দেশকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে না, দেশের গৌরবে গৌরবান্বিত হয় না, দেশবাসীর দু:খ-বেদনা অনুভব করে না, সে ব্যক্তি প্রকৃত ঈমানদার হতে পারে না। দেশকে ভালোবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন মাননীয় সচিব স্যার। করোনা কালীন সংকটের কারনে অসহায় দরিদ্রদের কথা ভেবে “একবেলা আহার এক তরকারিতে” । করোনা ভাইরাসের কারনে পর্যাপ্ত শ্রমিক না থাকার কারনে অসহায় দরিদ্র কৃষক দের সাহায্যের জন্য বেকার, শিক্ষিত, প্রাক্তন ছাত্রদের দ্বারা ধানাকাটা কার্যক্রম, যা অভিনব ধারনা।

শিক্ষানুরাগী হওয়ায় মুজিববর্ষে প্রাথমিকের সকল শিক্ষার্থীকে বাংলা রিডিং পড়া শেখার জোর তৎপরতায় আমরা মুগ্ধ।
তাছাড়া শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হবে বিধায় সংসদ টিভিতে পাঠদানের ব্যবস্হা গ্রহণ যা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য মঙ্গল বয়ে এনেছে যদিও প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুরা একটু এই সুবিধার বাইরেই আছে। আর তাঁর অভিনব ধারণা হিসেবে সংসদ টিভিতে প্রচারিত ক্লাসের উপর ভিত্তি করে ও পূর্বে পাঠদান থেকে ঘরে বসেই শিক্ষার্থীদের কিছুটা ক্ষতি পোষাতে পরীক্ষা নেওয়া একটা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এতে করে শিক্ষার্থীরা তাদের মানুসিক ভাবে এগিয়ে যাবে। মেধার মূল্যায়ন হবে। সংসদ টিভিতে ক্লাসগুলোর প্রতি গভীর মনোযোগী হবে। কারন করোনা সংকট মনে হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে। আর ঘরে বসেই পরীক্ষা নেওয়ার কার্যক্রম টা তিনি সাজিয়েছেন শিক্ষকদের পাশাপাশি কিছু ভলেন্টিয়ারের মাধ্যমে। অর্থাৎ শিক্ষক প্রশ্ন তৈরি করে ভলেন্টিয়ারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন পাঠিয়ে ও উত্তরপত্র সংগ্রহ করে শিক্ষক ফলাফল তৈরি করে এস এম এস করে পাঠাবেন। যা খুবই পছন্দনীয় উদ্যোগ। আর যেহেতু স্যার আপনি ভলেন্টিয়ার নিয়োগের কথা বলেছেন। তাই আমরা ৩৭ হাজার প্যানেল প্রত্যাশী গ্রুপ দেশের যে কোন দূর্যোগে দেশের এবং আপনার পাশে
থাকতে চাই। যেহেতু আমাদের সকল জেলাতে কমিটি করা আছে তাই আমাদের এই সুযোগ টি দিন, দেশের কল্যানে ভলেন্টিয়ার হিসাবে কাজ করার। তাছাড়া এর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং আপনার আহবানে সাড়া দিয়ে দেশব্যাপী ধানকাটা কার্যক্রম, টিউশনির টাকায় দরিদ্র শিশুদের শিক্ষা উপকরণ ও দরিদ্রদের মধ্যে ত্রান বিতরন করেছি।

এছাড়া “তিন দিনে একদিন, জমা পানি ফেলেদিন” স্লোগানে কিশোরগঞ্জে নতুন জেলখানা মোড় এলাকার খিলপাড়া বেদেপল্লিতে ডেঙ্গুমশা নিধন, করোনা সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। সেই সাথে বেদে পল্লিতে শিক্ষা উপকরণ ও ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছি।

আপনার কাছে আমার আহবান থাকবে আমাদের সকল জেলার প্যানেল প্রত্যাশীদের ভলেন্টিয়ার হিসেবে কাজটি করার সুযোগ দিলে সকল প্যানেল প্রত্যাশী যথাযথভাবে আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে বাধ্য ও অনুগত থাকবে।

লেখক, সভাপতি, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ প্যানেল প্রত্যাশী, কেন্দ্রীয় কমিটি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।