মোঃআজিজুল হুদা চৌধুরী সুমন; শ্রমজীবী মানুষদের জানাই মহান মে দিবসের রক্তিম শুভেচ্ছা! ১মে সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে শ্রমিক শ্রেণির আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস।আমাদের দেশে এ দিনটি পালিত হবে একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে। দেশে চলছে করোনাভাইরাসে আতঙ্ক।সঙ্কুচিত সাধারণ মানুষের চলাচলের অধিকার বিধি নিষেধের শৃঙ্খলে আবদ্ধ মানুষের জীবন।

এরকম এক রুদ্ধকর পরিবেশে সরকার কর্তৃক জরুরি লকডাউন জারি করেছে রাজনৈতিক তৎপরতা উপর নিষেধাজ্ঞার সাথে সাথে জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।বর্তমান দেশে খাদ্য পরিস্থিতি ভালো নয়। চাল, ডাল, আটা, তালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের সংকট তীব্র রুপ ধারণা করছে।বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর ৮০ শতাংশের উপর মানুষ তারা খাদ্যক্রয় করতে পারছে না।

শ্রমিকরা মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন কাজ না থাকায় বেকার অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।বর্তমান বাজার দরের উর্ধগতির জোয়ারে মেহনতী মানুষের সকল অংশের অবস্থা অত্যন্ত করুন এবং প্রান্তিক পর্যায়ে।ঠিকমতো সরকারি ত্রাণ না পাওয়া ও বকেয়া বেতনের দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিকরা এই জরুরি অবস্থার মধ্যে রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছেন।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই সংকট থেকে পরিত্রাণের জন্য স্বল্প আয়ের মানুষ বিশেষ করে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ভর্তুকি জন্য বিশেষ প্রমোদনার ব্যবস্থা করেছেন ও রেশম কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। আশা করি প্রকৃত স্বল্প আয়ের মানুষ এ-ই রেশম কার্ড যাতে পায় সরকার ব্যবস্থা নেবে।

তাহলেই কেবলমাত্র শ্রমিকদের সমস্যা দূর হবে।আমি বলতে চাই এই সংকটের বিরুদ্ধে একত্রে লাড়াই করতে হবে। বাংলাদেশের সকল জনগণ একসাথে এই লড়াইয়ে অংশগ্রহণ ছাড়া এই কঠিন করোনা ভাইরাসে থেকে কোন মুক্তি নেই।মহান মে দিবসের চেতনা সেই শিক্ষা বারবার বয়ে এনেছে। বর্তমান সংকট উত্তোরনে এবারের মে দিবস সেই বার্তাই আবার বয়ে এনেছে।সেই সংগ্রামী চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে চলি।আরেক বার বলি দুনিয়ায় মজদুর এক হও।

লেখক; মোঃআজিজুল হুদা চৌধুরী সুমন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক

আমাদের বাণী ডট কম/৩০ এপ্রিল ২০২০/পিপিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।