মোঃ শাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, দেবিদ্বার (কুমিল্লা) সংবাদদাতা; জেলার দেবিদ্বার উপজেলার পৌর শহরের প্রায় হাজারের অধিক দোকান রয়েছে,তার মধ্যে তৈরি পোশাক,থানকাপড়, লাইব্রেরি, কসমেটিস, টেইলার্স অন্যান্য দোকানও বন্ধ।

সরকারী কলেজ রোডস্থ ডাঃ কালাচাঁন্দ সুপার মার্কেটের দোকানদাররা বলেন বছরের দশ-এগারো মাস ব্যবসায় ক্ষতি হলেও রমজান মাসে সারাবছরের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার সুযোগ থাকে আমাদের কাছে, যেটি এই বছর হওয়ার কোনো সুযোগ ও সম্ভাবনা নেই।ঈদকে সামনে রেখে ঋণ করে কিছু টাকা অগ্রীম দিয়ে নানা ধরণের পণ্য তুলেছি দোকানে। ঈদে বিক্রির টাকা পাওয়ার পর সেই টাকা পরিশোধ করার কথা। কিন্তু দোকান বন্ধ থাকার কারণে বিক্রি না হওয়ায় ঋণও শোধ করতে পারবো না, পণ্যের দামও দিতে পারবো না।

দেবিদ্বারের মানুষ সবচেয়ে বেশি কেনাকাটা করে থাকে রোজার ঈদের সময় দূর্ভাগ্যক্রমে দেবিদ্বার করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের হার বৃদ্ধি হওয়ার কারনে দেবিদ্বার প্রশাসন দেবিদ্বার করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত লকডাউন ঘোষনা করেন।আর এই লকডাউনের কারনে এই ক্ষতির রেশ যদি দেশ স্বাভাবিক হয় তাহলে আগামী অন্তত দুই বছর ধরে টানতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন দোকানদাররা।কালাচাঁন্দ সুপার মার্কেটের দোকানদারদের মতো বন্ধ থাকা উপজেলার সকল দোকানদার এই সমস্যায় পড়বে বলে মনে করেন তারা।তারা আরো বলেন যে বৈশাখ এবং ঈদকে মাথায় রেখে অধিকাংশ দোকান পাঁচ ছয় মাস আগে থেকেই বিভিন্ন পণ্য পোশাক কিনেছে এবং অর্ডার দিয়েছে। এসব পণ্য কেনার ক্ষেত্রে দোকানদাররা সাধারণত ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন মেয়াদে ঋণ করে,সুদে,হাওলাত করে, আংশিক মূল্য পরিশোধ করে পণ্য কেনে এবং উৎসবের সময় তা বিক্রি করে পরে ঋণ এবং মূল্য পরিশোধ করে থাকে।

কিন্তু ঈদের সময় যেই বিক্রি হওয়ার কথা,লকডাউনের কারনে এবছর তা না হওয়ায় দোকানদাররা অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন না, যার প্রভাব পড়বে পরবর্তীতে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে।অনেক দোকানদারই ঈদের জন্য ক্রয় করা পণ্য পরে বিক্রি করতে পারবে না। আবার অনেক পোশাকও ঈদের পরে বিক্রি হবে না।এই দোকানদারদের অনেকে তাদের পুরনো ঋণ শোধ না করে নতুন ঋণ নিতে সমস্যায় পড়বে। ফলে পরবর্তিতে নতুন করে কার্যক্রম চালাতে পারবে না তারা। এর প্রভাবে ছোট আকারের অনেক দোকানদারই দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে না বলে আশঙ্কা করছে দোকানদাররা।

তাই সকল দোকানদাররা দেবিদ্বার সংসদসদস্য ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন মার্কেট বন্ধ থাকা মাস গুলির দোকান ভাড়া মওকুফ করে দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মার্কেট মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানান তারা।

আমাদের বাণী ডট কম/২২ মে ২০২০/ডিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।