নতুন এমপিও ও জনবল কাঠামো নীতিমালা  জারির আগে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর সনদধারী ৩৫ ঊর্ধ্ব প্রার্থীদের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের আবেদনের সুযোগ ও মেধাতালিকা অনুসারে নিয়োগের নির্দেশনা দিয়ে দেয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে এনটিআরসিএ। আপিল আবেদনটি শুনানির জন্য গত বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি ২০২০) কার্যতালিকায় থাকলেও তা হয়নি। আগামীকাল রোববার (৫ জানুয়ারি ২০২০) আপিল আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন হতে পারে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএর একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত গত ২২ মে ২০১৯ সালে এমপিও নীতিমালা জারির আগে এনটিআরসিএ সনদধারী ৩৫ ঊর্ধ্ব প্রার্থীদের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের আবেদনের সুযোগ ও মেধাতালিকা অনুসারে নিয়োগের নির্দেশনা দিয়েছিলেন মহামান্য হাইকোর্ট। সে রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গত বছরের  ৮ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়।  ২২ মে ৩টি রিট পিটিশনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি এ.এফ.এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে.এম. কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় প্রদান করেন। সে রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি  প্রকাশিত হয়েছে।

রায় প্রকাশের তথ্য নিশ্চিত করে রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া গত ৯ ডিসেম্বর বলেছিলেন , ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের আগে সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে চাকরির কোনো বয়সসীমা নির্ধারিত ছিল না, কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ গত বছরের ১২ জুন ২০১৮ জারি করা জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করা হয়। নীতিমালার ধারাবাহিকতায় এনটিআরসিএ শুধু ৩৫ অনূর্ধ্ব প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। নীতিমালা জারির পূর্বে যারা এনটিআরসিএ কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন; কিন্তু ৩৫ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে তাদের আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেছিলেন, এ রায়ের ফলে যারা ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে এমপিও নীতিমালা জারির পূর্বে এনটিআরসি সনদপ্রাপ্ত হয়েছেন তাদের এনটিআরসিএ’র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে আর কোনো বাধা থাকলো না। রায়ে বয়সসীমা নীতিমালা হওয়ার আগেই এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট প্রাপ্তদের নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩৫ বছরের বয়সসীমা আরোপ না করে আবেদন গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। একই সাথে আবেদনকারীদের মধ্যে যারা সমন্বিত জাতীয় মেধা তালিকা অনুযায়ী যোগ্য তাদের আইন অনুযায়ী নিয়োগ প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।