শাহ মনসুর আলী নোমান ; আজ (১০ জুলাই)জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৪১তম অধিবেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব ও স্পিকার হুমায়ূন রশীদ চৌধুরীর ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী।
হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ২০০১ সালের ১০ জুলাই স্পিকারের দায়িত্ব পালনকালে ইন্তেকাল করেন। তিনি দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) প্রতিষ্ঠা করে সিলেট সহ সারা বাংলাদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় বিপ্লব সাধন করেন।
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।
মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ছিলেন এক জন পেশাদার কূটনীতিবিদ। তিনি ১৯২৮ সালের ১১ নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আব্দুর রশীদ চৌধুরী এবং মাতা সিরাজুন্নেসা চৌধুরী। তারা দুই জনেই ছিলেন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যখন সপরিবারে হত্যা করা হয়, তখন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছিলেন বেলজিয়ামে। দেশে না থাকায় বেঁচে যান তারা। সেসময় হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়েকে জার্মানিতে আশ্রয় দেন।
শেখ হাসিনা ও রেহানাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর ওপর ক্ষিপ্ত হয় বঙ্গবন্ধুর খুনিরা। তাঁকে ওএসডি করে দেশে নিয়ে আসা হয়। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান কুটনীতিক ও সফল রাজনীতিবিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী এবংমরহুমের অত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
লেখক; ভিসি মহোদয়ের একান্ত সচিব, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ