দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন। কোনো জাতিকে উন্নয়নের চরম শিখরে পৌঁছতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাতে হয়। তাই ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন অত্যাবশ্যক। যখন কোনো মানুষ কোনো কিছুকে পর্যবেক্ষণ করে তখন তা থেকে ১০% শেখে, কোনো কিছু শ্রবণ করে তখন তা থেকে ২০% শেখে, কোনো কিছু কাজ করে তখন তা থেকে ৭০% শেখে। কিন্তু আমরা বেশী দর্শন ও শ্রবণ করি কিন্তু ব্যবহারিক কাজে অভ্যস্থ নই।

আমাদের দেশের বেশির ভাগ স্কুল কলেজ ব্যবহারিক ক্লাস ও পরীক্ষা উভয়ই নাজুক অবস্থা। কোনো কোনো স্কুল ও কলেজে ল্যাব থাকলেও যন্ত্রপাতি অপ্রতুল, আবার যন্ত্রপাতি যথেষ্ট থাকলেও ব্যবহারিক ক্লাস করানো হয় না, আবার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক পুস্তকটিতে যতগুলো ব্যবহারিক কাজ আছে তার সবকয়টি সম্পন্ন করানো হয় না ।

তাই শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক জ্ঞান লাভ করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কিন্তু শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক পরীক্ষায় পূর্ণ নম্বর ( প্রায় ২৫) পাচ্ছে। ব্যবহারিক ক্লাসের গুরুত্ব আমাদের অনুধাবন করতে হবে। হাতেকলমে বিজ্ঞান চর্চার সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে। দক্ষতাভিত্তিক সমাজ গড়তে বিজ্ঞানের প্রায়োগিক বিষয়টিকে মূল্যায়নে আরো সচেতন হতে হবে। একটি পরীক্ষায় ২৫ নম্বর একটা বৃহত্ প্রভাব বিস্তার করে। আর তার মূল্যায়নে ও পাঠোদ্ধারে আরো যত্নশীল ও পরিবেশ গঠনে মনোযোগী হওয়া দরকার। সকল স্কুল কলেজে ব্যবহারিক ক্লাস সক্রিয়ভাবে নিয়মিত রাখা, ব্যবহারিক ক্লাসে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা, সকল উপকরণ সংবলিত ব্যবহারিক পাঠদান নিশ্চিত করা বিজ্ঞান মনষ্ক প্রজন্ম গঠনে সহায়ক হবে।

শিক্ষক,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।