মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা; জেলার হরিপুর উপজেলার যাদুরানী খাদ্যগুদামে রাতের আধাঁরে চাল ও গম পাচার করার অভিযোগ উঠেছে। চাল ও গম পাচারকালে বাজারে নাইটগার্ড ও স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলায় ২ বস্তা চাল ও ৪ বস্তা গম সহ বোঝাইকৃত ভ্যান ফেলে পালিয়ে যায় ভ্যান চালক ইউসুফ আলী ও খাদ্য গুদামের নৈশ প্রহরী নুর ইসলাম।

গত শুক্রবার (১২ জুন ২০২০) দিবাগত রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে যাদুরানী খাদ্য গুদামের মূল গেটে ঘটনাটি ঘটে। এদিকে চাল ও গম পাচারের ঘটনায় ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক চার সদস্য বিশিষ্ট্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।  আগামী তিন দিনের মধ্যে ঐ তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

হরিপুর উপজেলার যাদুরানী বাজারের নাইটগার্ড আমিরুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার (১২ জুন) আনুমানিক রাত ১২টার দিকে আমি বাজারের টহল দেওয়ার সময় বস্তা বোঝাই একটি ভ্যান যাদুরানী খাদ্য গুদাম থেকে বের হতে দেখি। এসময় আমি খাদ্য গুদামের গেটের দিকে এগিয়ে গেলে ভ্যান চালক ইউসুফ ও গুদামের নৈশ প্রহরী নুর ইসলাম আমাকে দেখে ভ্যান বোঝাই ৬টি বস্তা ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় আমি চিৎকার দিলে আশে-পাশের স্থানীয় জনগণ ও দোকানদাররা উপস্থিত হয়। পরে দেখি ভ্যানে ৫০কেজি ওজনের ২বস্তা চাল ও ৪বস্তা গম রয়েছে। প্রতিটি বস্তার গায়ে লেখা আছে খাদ্য অধিদপ্তরের জন্য। গুদাম সংলগ্ন জাহিদ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী দোকানদার বলেন, শুক্রবার (১২ জুন) আনুমানিক রাত ১১টার দিকে যাদুরানী খাদ্য গুদামে একটি খালি ভ্যান প্রবেশ করে। আনুমানিক ১ঘন্টা পর বস্তা বোঝাই করে ভ্যানটি বের হয়। এ সময় ভ্যানে কি আছে বললে ভ্যান ছেড়ে তারা পালিয়ে যায়। যাদুরানী খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

সাজেদুর রহমান বলেন, রাতে আমি আমার বাবার চিকিৎসার কাজে ঠাকুরগাঁও ছিলাম। রাত আনুমানিক ১২টার দিকে জানতে পারি কে বা কাহারা ভ্যান বোঝাই করে খাদ্য গুদাম থেকে চালের বস্তা নিয়ে যাচ্ছে এবং বাজারের নাইটগার্ড সহ স্থানীয় জনগণ বোঝাইকৃত ভ্যানটি আটক করে। পরে আমি হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল করিম ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম পুস্পকে বিষয়টি জানিয়েছি। পরে হরিপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম পুস্প এর জিম্মায় ভ্যান সহ চাল ও গম দেওয়া হয়।

তিনি আরো জানান, বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হরিপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম পুস্প বলেন চোরাইকৃত ২ বস্তা চাল, ৪ বস্তা গম ও একটি ভ্যান আমার জিম্মায় রয়েছে।

হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল করিমের মুঠো ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আমাদের বাণী ডট কম/১৪জুন ২০২০/ডিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।