১০ম গ্রেডের রায়ের কপি প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা হাতে পেয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে আপতত কোনো পদক্ষেপ নেবেন না তারা। কারণ প্রধান শিক্ষকরা এখন সহকারি শিক্ষকদের সাথে আন্দোলনে আছেন।

বাংলাদেশ প্রধান শিক্ষক সিমিতির একাংশের সভাপতি ও ঐক্যজোটের প্রধান মুখপাত্র মো.বদরুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ১০ম গ্রেডের রায়ের কপি হাতে পেয়েছি, তবে সহকারি শিক্ষকদের গ্রেড পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোনো পদক্ষেপে গ্রহণ করবো না।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেড করাসহ গেজেটেড পদমর্যাদা দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় ক্ষেত্রেই প্রবেশ পদে বেতন স্কেল ১০ম গ্রেড করাসহ গেজেটেড পদমর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। সোমবার এই রায়ের কপি হাতে পেয়েছেন রিটকারীরা।

ঢাকার সূত্রাপুরের গেন্ডারিয়া মহিলা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক হাইকোর্টে ওই রিট দায়ের করেন।

এরপর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ ও সহকারীদের ১২তম গ্রেড দেয়ার প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছিলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। এর প্রেক্ষিতে আলোচনায় বসে দুই মন্ত্রণালয়। আলোচনায় পরবর্তীতে ২০ অক্টোবর প্রধান শিক্ষকদের ১১তম ও সহকারীদের ১৩তম গ্রেড দিতে সম্মত হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।