আমাদের বাণী ডেস্ক, ঢাকা; বিশ্বে দাবানলের মত ছড়িয়ে যাচ্ছে করোনাভাইরাস। মুহুর্তের মধ্যেই বিশ্বের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস টা। আক্রান্তের দিক থেকে চীন ইতালি স্পেনকে ছাড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এই করোনাভাইরাসে নিউইয়র্কে জীবন দিলেন বাংলাদেশি তৃষা। মৃত্যুর তিনদিন পর সমাধিস্থ হলেন লং আইল্যান্ডে। সম্পূর্ণ যান্ত্রিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন হলো তার দাফন-কাফন। ক্রেন দিয়ে কবরে নামানো হলো তরুণীর মরদেহ।

বাবা মনির হোসেন হাওলাদার একাত্তরের বীর-মুক্তিযোদ্ধা। পৈতৃকবাস মুন্সিগন্জের সিরাজদিখান উপজেলার মধ্যপাড়া-তেলিপাড়ায়। তৃষার পুরো নাম আমিনা ইন্দালিব। জন্ম ১৯৮২-এর ১৬ জানুয়ারি মুন্সিগন্জে। গুণবতী ও রূপবতী হিসেবে ছিলেন সবার প্রিয়ভাজন। তার আকস্মিক প্রয়াণে স্বদেশে-প্রবাসে শোকের ঢল নেমেছে।

মরণব্যাধী কোবিড ১৯-এ আক্রান্ত তৃষা মারা যান গত ২৩ মার্চ। নিউইয়র্কে জ্যামাইকার হাইল্যান্ড অ্যাভিনিউয়ে ছিলো বসবাস। স্বামী বোরহান চাকলাদার পেশায় ‘উবার’ চালক। তিনটি শিশু সন্তানের দুটি মেয়ে একটি ছেলে। কনিষ্ঠ কন্যাটির বয়েস মাত্র ১৪ মাস। নিউইয়র্কে তৃষার প্রবাসজীবন মাত্র চার বছরের।

১৪ মাসের শিশু-সন্তানটির প্রতিপালন নিয়েও সিদ্ধান্তহীনতা চলছে। তবে সিটির পুলিশ বিভাগ সরকারিভাবে লালন-পালনে আগ্রহী।

উল্লেখ্য, করোনায় নিহতদের লাশ দাফন নিয়েও সমস্যা বিস্তর। স্বাস্থ্যবিধিতে হাত দিয়ে লাশ ধরার বিধান নেই। করোনা ‘ছোঁয়াছুঁয়ি’ রোগ হওয়ায় সেবাকর্মীরা সমাধিকর্মে অনাগ্রহী। তবুও বাংলাদেশ সোসাইটির হস্তক্ষেপে জটিলতার নিরসন হয়।

লং-আইল্যান্ডের কবরস্থানে দ্রুত ‘সমাধি’ বরাদ্দ দেয় সোসাইটি। সভাপতি-সম্পাদক কামাল আহমেদ ও রুহুল-আমিন সিদ্দিকী তৎপর হন। অবশেষে ২৬ মার্চ ধর্মীয় মর্যাদায় দাফনকর্ম সম্পন্ন হয়। ক্রেনের মাধ্যমে কবরে নামানো হয় মরহুমার কফিন। তথ্য সূত্র সংগৃহীত।

আমাদের বাণী ডট কম/২৭ মার্চ ২০২০/ডিএ

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।