শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসিএর গন বিজ্ঞপ্তি নয় বরং প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক রিকুইজিশন এর মাধ্যমে অতি সত্ত্বর এনটিআরসিএর মেরিট লিস্ট থেকে শিক্ষক চাই।

২০১৫ সালের পর থেকে শিক্ষক নিয়োগ প্রয়োগ ক্রিয়া যখন কমিটি হারায়, এনটিআরসিএ এ প্রয়োগ ক্রিয়া হাতে নেয় তখন থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রায় ৯৯%বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট। স্বল্প শিক্ষক দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধানগন অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হিমশিম খাচ্ছেন তেমনি ঐ শিক্ষকরা অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ায়-পরিশ্রান্ত হয়ে নিজের বিষয় ওয়ারি ক্লাস  নিতে শিখন-শেখানোর বিভিন্ন  উপায় ও কৌশল প্রয়োগে করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। ফলে শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের দেওয়া শিখন-শেখানো পদ্ধতি ও শিক্ষককে দেওয়া প্রশিক্ষণ  কোন কাজেই আসছেনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

দেশে পযার্প্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও গুনগত শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে প্রতিদিনকার খবরের কাগজে। তার বাস্তব প্রমান উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের একমা্ত্র স্বনামধণ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করা হাজার হাজার শিক্ষার্থী মধ্যে পাসের হার খুবই নগন্য। তাই আমি এনটিআরসিএর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ঘাটতি মেটাতে। অতঃপর তাদের প্রশিক্ষন প্রাপ্ত করলে তাদের কাছ থেকে ফল্প্রসূ শিক্ষা আশা করা যেতে পারে।

এনটিআরসিএর গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয় দিনের পর দিন, মাসের পর মাস,বছরের পর বছর। যার প্রমান ২০১৫ সাল থেকে আজ অবধি এর গন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে কবল মাত্র একটি। তাহলে এই পাঁচ বছর ঐ শিক্ষকদের ক্লাস গুলি নিতে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। ঘটেছে সু-শিক্ষার ব্যঘাত।

তদপুরি কোন কোন প্রতিষ্ঠান চাহিদা মাফিক শিক্ষক আজও পায়নি। তাদের কে অপেক্ষা করতে হচ্ছে পরবর্তি এনটিআরসিএর গণবিজ্ঞপ্তির জন্য । তাহলে ঐ সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যবস্থা আপনারা কেমন আশা করেন ? কাজেই আমার মতে যদি সম্ভব হয় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগের জন্য গনবিজ্ঞপ্তি নয়,বরং প্রতিষ্ঠান ভিওক চাই শিক্ষক রিকুইজিশন যেসব প্রতিষ্ঠানে যে দিন থেকে শিক্ষক ঘাটতি বা শূন্য হবে ঠিক সেদিন থেকে অন্তত ১০ দিনের মধ্যে ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক রিকুইজিশন সরাসরি এনটিআরসিএ বরাবর প্রেরণ  করবেন ।

অতঃপর ১০-২০ দিনের মধ্যে তথা আরও কম সময়ে এনটিআরসিএর  মেধা তালিকা থেকে শিক্ষক নিয়োগ করলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার গুনগত মান বহাল থকবে বলে আমার বিশ্বাস।

লেখক; সহকারি শিক্ষক (বিজ্ঞান), কনকদিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাউফল, পটুয়াখালী

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।